তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চলছে জেলায় জেলায়, প্রশান্ত কিশোরের এখন ‘শিরে সংক্রান্তি’
তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চলছে জেলায় জেলায়, প্রশান্ত কিশোরের এখন ‘শিরে সংক্রান্তি’
পুরনোকর্মী যারা লড়াই করে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, তাঁরা এখন আর সেভাবে গুরুত্ব পান না তৃণমূলে। প্রশান্ত কিশোর 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচিতে সেই আদি নেতাদের ফের গুরুত্বের জায়গায় আনতে সচেষ্ট হন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাধ সাধে তৃণমূলের অন্দরে। পুরনোদের সম্মান জানাতে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে।
উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে না তৃণমূলে
তৃণমূলের এই ফাটল যতই তীব্র হচ্ছে ততই উৎফুল্ল হচ্ছে বিজেপি। বর্ধমানের মন্তেশ্বর হোক বা পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুর কিংবা উত্তরবঙ্গের কোনও এলাকা, তৃণমূলের আদি বা নব্য নেতারা বিবাদ ভুলে এক মঞ্চে আর আসছেন কই। ফলে উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসে। বহু ক্ষেত্রেই জেলায় জেলায় ভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আদি নেতারা আসছেন না প্রকাশ্যে
বিধায়ক এক জায়গায় অনুষ্ঠানে করছেন তো দলের অপর গোষ্ঠীর নেতা অন্য এক জায়গায় একই কর্মসূচি পালন করছে। অনেকেই অপমান ভুলতে পারছেন না। তাই প্রকাশ্যেও আসছেন না তাঁরা। পিকের তালিকায় তাঁদের নাম থাকা সত্ত্বেও দলের আদি নেতারা আসছেন না প্রকাশ্য মঞ্চে। ফলে তৃণমূলের কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রয়ে যাচ্ছে।
‘বাংলার গর্ব মমতা’ সাড়া ফেলতে ব্যর্থ
‘দিদিকে বলো' যেভাবে সাড়া ফেলে দিয়েছিল, ‘বাংলার গর্ব মমতা' সেভাবে সাড়া ফেলতে পারছে না। তাই প্রশান্ত কিশোরও বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। তিনি এবং তাঁর টিম আই প্যাক কীভাবে এই কর্মসূচিকে সাফল্যের মুখ দেখান, তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব তিনি কীভাবে নেভান, এখন সেদিকেই পাখির চোখ সকলের।