তৃণমূল ছেড়ে আর কোন কোন নেতা বিজেপির পথে! জল্পনা বাড়ল প্রশান্ত কিশোরের কথায়
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সবথেকে বড় বাধা হয়ে উঠেছে দলের ভাঙন। শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় নেতা দল ছেড়েছেন। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন আরও অনেক হেভিওয়েটকে। এই ভাঙন রোখাই এখন মস্তবড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। বাংলার শাসকদলের ভোট কৌশলী হিসেবে সেই চ্যালেঞ্জের মুখে শোনা গেল আরও কিছু নেতার দল ছাড়ার প্রসঙ্গ। তাতেই জল্পনা বাড়ল একুশের আগে।

দলের ভাঙন প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য পিকের
সম্প্রতি তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর একটি টুইট করেন। তাঁর সেই টুইট নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। তিনি বিজেপির আসনসংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বলেন, বিজেপি টু ডিজিট পেরোবে না ২০২১-এ। কেন তার ব্যাখ্যাও দেন প্রশান্ত কিশোর। সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই তিনি দলের ভাঙন প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন।

আরও কেউ কেউ দল ছাড়তে পারে, শঙ্কা পিকের কথায়
প্রশান্ত কিশোর বলেন, তিনি শুধু ধারণার উপর ভিত্তি করে বিজেপির আসন সংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেননি। বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভোট-অঙ্ক বিবেচনা করেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। সাম্প্রতিক দলবদলকে হিসেবের মধ্যে রেখেই তিনি এ কথা বলেছেন। আর এ প্রসঙ্গেই তাঁর উক্তি, আরও কেউ কেউ দল ছাড়তে পারে, সেই কথাও তাঁর মাথায় রয়েছে। সেইসব বিবেটনা করেই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

ভাঙনের পর ভাঙন, অনেকে এখনও লাইনে!
তৃণমূলে এখন ভাঙনের পর ভাঙন চলছে। শুভেন্দুর হাত ধরে ৬ জন বিধায়ক, একজন সাংসদ ও একজন প্রাক্তন সাংসদসহ অনেক নেতানেত্রী বেরিয়ে গিয়েছেন। এখনও অনেকে লাইনে আছেন। স্বভাবতই সেইসব নেতাদের আটকে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। তাঁদের অনেকে দলে থাকবেন না বলে কি আগেভাগে ধরে নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

নেগেটিভ ধরেই অঙ্ক কষছেন প্রশান্ত কিশোর
প্রশান্ত কিশোর বলেন, নেগেটিভ ধরেই অঙ্ক কষে বিজেপির সর্বোচ্চ কত আসন পেতে পারে তা জানিয়েছি। যদি তৃণমূলে আর লকোনও ভাঙন না আসে, তা তো দলের পক্ষেই মঙ্গল। আরও ভালো হবে তৃণমূলের। বিজেপি আরও কমে যাবে। উল্লেখ্য, তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর টুইট করে জানিয়েছিলেন, বাংলায় বিজেপির প্রাপ্ত আসনসংখ্যা দুই অঙ্ক পেরোবে না আসন্ন ২০২১ নির্বাচনে।

বাংলায় ভোট শুরুর আগে বিজেপি পিছিয়ে, ব্যাখ্যা পিকের
প্রশান্ত কিশোরের মতে, বাংলায় ভোট শুরুর আগে বিজেপি পিছিয়ে রয়েছে। যুক্তি ও অঙ্কের উপর ভিত্তি করেই বলা যায়, বাংলায় ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটার, ৩০ শতাংশ মুসলিম। বিজেপি শুধু টার্গেট করেছে ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটারকে। অর্থাৎ তৃণমূলের যেখানে টার্গেট ১০০ শতাংশ ভোটার, সেখানে বিজেপির ৭০ শতাংশ ভোটারকে টার্গেট করে নির্বাচনে লড়ছে।