প্রশান্ত কিশোরের আরও এক মাস্টারস্ট্রোক! নেত্রী মমতার গ্রিন সিগন্যালে পদ পাচ্ছেন নেতারা
২০২১-এর আগে রাজ্যের সামনে রয়েছে বড় এক যুদ্ধ। করোনার আবহে রাজ্যের পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও ভোট হয়নি। তাই সেই ভোট নিয়ে যেমন চিন্তা রয়েছে, তেমনই ভোট প্রস্তুতি নিয়েও ভাবিত তৃণমূল কংগ্রেস।
২০২১-এর আগে রাজ্যের সামনে রয়েছে বড় এক ভোট যুদ্ধ। করোনার আবহে রাজ্যের পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও ভোট হয়নি। তাই সেই ভোট নিয়ে যেমন চিন্তা রয়েছে, তেমনই ভোট প্রস্তুতি নিয়েও ভাবিত তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোর দিলেন এক মাস্টারস্ট্রোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সবুজ সংকে্ত দিলেন সেই প্রস্তাবে।
প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা
কলকাতা পুরসভায় যে সমস্ত বিদায়ী কাউন্সিলর রয়েছেন, তাদের উপরই নিজ নিজ ওয়ার্ডের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁর পরিকল্পনার কথা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কার্যত পাকাপাকিভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বিদায়ী কাউন্সিলরদেরই নিজ নিজ ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
বিদায়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে পরিকল্পনা
তৃণমূল আগেই বিদায়ী কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন নিজ নিজ ওয়ার্ডে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি। এবার প্রশান্ত কিশোর বিদায়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানালেন। তিনি বিদায়ী কাউন্সিলরদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরের এই পরিকল্পনাকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সমস্ত বিদায়ী কাউন্সিলরকে লিখিত নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। ওয়ার্ডে কো-অর্ডিনেটক নিয়োগ হলেও দলের কোনও কর্মসূচি হচ্ছিল না। ফলে ব্যাকফুটে পড়ে যাচ্ছিল তৃণমূল।
প্রশান্ত কিশোরের নয়া কৌশল
এই অবস্থায় প্রশান্ত কিশোর নয়া কৌশল রূপায়ণ করলেন। তিনি বিদায়ী কাউন্সিলরদের দলীয় সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার রণকৌশল নিলেন। ওয়ার্ডে ওয়া্র্ডে সংগঠনকে শক্তশালী করার প্রয়াস কতটা ফলপ্রসূ হয়, তা ভবিষ্যৎ বলবে, তবে বসে পড়া সংগঠন যে জাগ্রত হবে, তা বলাই যায়।