মমতার দলের হয়ে ভোট প্রচারে শিক্ষকদের ১২ হাজার দল! মাস্টারস্ট্রোক পিকের
২০২১-এ প্রেস্টিজ ফাইটে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। একেবারে কর্পোরেট কায়দায় ভোট প্রচারের পরিকল্পনা করেছে তারা। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে এবার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২১-এ প্রেস্টিজ ফাইটে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। একেবারে কর্পোরেট কায়দায় ভোট প্রচারের পরিকল্পনা করেছে তারা। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে এবার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিহারের নির্বাচন পর্ব শেষ হতেই বাংলায় ভোট দামামা বেজে গিয়েছে। বিজেপির 'পঞ্চপাণ্ডব' ময়দানে নেমে পড়েছে, অন্যদিকে মমতার দলের কাণ্ডারি প্রশান্ত কিশোর।
তৃণমূলের ভোটের প্রচারে ১২ হাজার দল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে আসন্ন নির্বাচনের প্রচার কৌশল স্থির করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি ২০২১ বিধানসভা ভোটের প্রচারে ১২ হাজার দলকে ময়দানে নামাচ্ছে। প্রতি দলে থাকছেন পাঁচজন করে প্রাথমিক শিক্ষক। মোট ৬০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নয়া অভিযানে সামিল করছে শাসক তৃণমূল।
‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি'
নয়া এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি'। সোমবার তৃণমূল ভবনে এই অভিযানের সূচনা হবে। সূচনা করবেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোটা অভিযানের নেতৃত্বে থাকবেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। মোট কথা, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই এবার ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল।
ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে অভিযান
তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় প্রত্যেক পঞ্চায়েতে শিক্ষকদের দল পাঠানো হবে। শিক্ষকদের সেই দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবে। পুস্তিকা বিলি করবে। বোঝাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে বিগত দিনে।
৬৪টি মানবিক প্রকল্প সম্বলিত একটি পুস্তিকা তৈরি
সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারের ৬৪টি মানবিক প্রকল্প সম্বলিত একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই পুস্তিকা বাড়ি বাড়ি বিনামূল্য বিতরণ করা হবে। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র জানিয়েছেন, এই মানবিক প্রকল্প সম্বলিত পুস্তিকা নিয়ে আমরা বাড়ি বাড়ি আলোচনা করব। বোঝাব প্রকল্পগুলির সুফল পেতে এক পয়সাও খরচ করতে হয় না।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা জানবেন শিক্ষকরা
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য কোথায় কীভাবে আবেদন করতে হয়, তা জানেন না অনেকেই। সেই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ সাধারণ গরিব মানুষকে বোকা বানায়। কাটমানি দিতে হয় অনেককে। বদনাম হয় রাজ্য সরকারের। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা জানবেন শিক্ষকরা।