তৃণমূল বিধায়কদের কড়া টাস্ক প্রশান্ত কিশোরের! একুশের আগে পরীক্ষার সময় শুরু
তৃণমূল বিধায়কদের কড়া টাস্ক প্রশান্ত কিশোরের! একুশের আগে পরীক্ষার সময় শুরু
২০২১ বিধানসভা নির্বাচন জিতে হ্যাটট্রিক করতে গেলে বিধায়কদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। সেজন্য এবার কড়া টাস্ক দজিলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বিধায়করা বসে থেকে টিকিট পাবেন, তারপর মমতা-ক্যারিশ্মায় ড্যাংডেঙিয়ে জিতে যাবেন, সেদিন শেষ। এবার নিজে খেটে নিজের ভিত গড়তে হবে।
কর্মী সম্মেলনের সময় নির্ধারণ প্রশান্ত কিশোরের
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল বিধায়কদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, পুজোর আগেই সমস্ত বিধায়ককে নিজের কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলন শেষ করে ফেলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন কর্মী সম্মেলন করার। সেইমতো অনেকেই শুরু করে দিয়েছেন কর্মী সম্মেলন। এবার প্রশান্ত কিশোর সময় নির্ধারণ করে দিলেন।
সম্মেলন করলেই হবে না, কর্মীদের ফেরাতে হবে দলে
প্রশান্ত কিশোর বলেন, শুধু কর্মী সম্মেলন করলেই হবে না। কর্মী সম্মেলন করে পুরনো কর্মীদের ফেরাতে হবে দলে। এই দায়িত্ব এবার থেকে নিতে হবে বিধায়কদেরই। বিধায়করাই নিজের নিজের এলাকায় অভিমান করে দূরে চলে যাওয়া কর্মীদের ডেকে নেবেন কাছে। বার্তা দেবেন ফের একসঙ্গে চলার।
পুরনো কর্মীর সঙ্গে নতুন কর্মীরাও আসছেন তৃণমূলে
প্রশান্ত কিশোরের এই দাওয়াইয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজও হচ্ছে। বহু পুরনো কর্মীর সঙ্গে নতুন কর্মীরাও আসছেন দলে। বহরে বাড়ছে দল। ওইসব নতুন কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ বাড়ছে। তাঁরা নেতাদের কথা শুনে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিজেপি নামক বিপদ থেকে রাজ্যকে উদ্ধার করতে পুরনো-নতুনরা একজোট হচ্ছেন।
কর্মীদের গুরুদায়িত্ব, প্রতি বুথে ১০ বাড়ি টার্গেট
প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মতো প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্রে কর্মী সম্মেলন থেকেই স্থির করে দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের কাজ। প্রতি বুথের এক একজন কর্মী নিজের এলাকায় ১০টি বাড়িতে যাবেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। শুধু বাড়িতে গেলেই হবে না। কোন কোন বাড়িতে গেলেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা সমস্ত লিখে রাখতে হবে। এজন্য নোটবুক ব্যবহার করতে হবে।
কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ভোট প্রচারের
কর্মীরা গিয়ে কী বলবেন, তাও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে কর্মী সম্মেলনে। বিজেপি এলাকায় এলাকায় বিভেদের পরিবেশ তৈরি করছে। সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। বিজেপি থেকে সাবধান করতে হবে মানুষকে। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করতে হবে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এগোতে হবে। এই করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এগোতে হবে সবাইকে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জবকার্ড প্রদানে রেকর্ড! বিজেপি ও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের থেকে এগিয়ে বাংলা