প্রশান্ত কিশোর ‘সময়’ দিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে! ২০২১ নির্বাচনের আগে জল্পনা
প্রশান্ত কিশোর ‘সময়’ দিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে! ২০২১ নির্বাচনের আগে জল্পনা
প্রশান্ত কিশোর বুঝিয়ে দিলেন, আর সময় নেই। এবার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২০২১-এর মহাযুদ্ধের আগে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দিলেন, যেথায় যাঁর দ্বন্দ্ব রয়েছে, যাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে, তাঁদের সবাইকেই অবিলম্বে দ্বন্দ্ব মেটাতে হবে। এবং রিপোর্ট দিতে হবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। অভিষেকের সামনেই কড়া বার্তা পিকের।
বিভাজন রুখতে কড়া দাওয়াই প্রশান্ত কিশোরের
২০২১-এ তৃণমূলের হ্যাটট্রিক নিশ্চিত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে। তারপর ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের সবথেকে দুর্বল জায়গা উত্তরবঙ্গে হানা দিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের জেলা নেতৃত্বের মধ্যে ভেদাভেদ ঘুঁচিয়ে ঐক্যের বিধান দেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। সেই কাজে গিয়েই তৃণমূল নেতাদের কীর্তিকলাপ দেখে কড়া দাওয়াই দিয়ে এলেন প্রশান্ত কিশোর।
কোচবিহার তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বৈঠকের ডাক
কোচবিহার জেলায় একদিকে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও বিধায়ক উদয়ন গুহ। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, হিতেন বর্মন, মিহির গোস্বামী, অর্ঘরায় প্রধান। এই লড়াই কলকাতার বৈঠকেই দেখেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এবার উত্তরবঙ্গ সফরে দিয়ে দু-পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন।
জরুরি বৈঠকের নির্দেশ, এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাবি
তৃণমূলের এই জটিল পরিস্থিতিতে জেলা চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের বার্তা দেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের তারিখ ও সময়ও ঠিক করে দেওয়া হয়। এক মাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয় জেলা নেতৃত্বকে।
তৃণমূলে সংঘাত চরমে, পিকে-অভিষেকের নজর উত্তরে
২০১৯-এর লোসকভা নির্বাচনে তৃণমূল উত্তরবঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কোনও আসনেই তৃণমূল জয়লাভ করতে পারেনি। ড্যাংডেঙিয়ে আটটির মধ্যে সাতটিতে জিতে যায় বিজেপি। আর বাকি আসনটি জেতে কংগ্রেস। তাই এবার বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে নজর দিয়েছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কীর্তি দেখে অবাক।
প্রশান্ত কিশোর-অভিষেকের সামনেই দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতারা
তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কার কোথায় কাজ করতে কী সমস্যা হচ্ছে, তা খুলে বলুন। কোথায় কী ত্রুটিবিচ্যুতি তা তিনি নির্ণয় করতে গিয়েই দেখলেন কোচবিহারের নেতারা একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন।
প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেকের ধমক তৃণমূল নেতাদের
বৈঠকের মাঝেই কোচবি্হার জেলার নেতাদের এই বাগবিতণ্ডা দেখে হতবাক অভিষেক ও পিকে। এরপরই মোক্ষম বাণটা ছাড়েন প্রশান্ত কিশোর। বলেন, আপনারা এখানেই যদি এমন করেন, তাহলে জেলায় গিয়ে কী করেন, তা বুঝতে আমার অসুবিধা হচ্ছে না। শিলিগুড়িতে এই বৈঠক চলাকালীন প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেকের ধমকানিতে তারপর থমকে যান সবাই।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বৈঠকে কারা ছিলেন
প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে কোচবিহারের প্রায় সমস্ত নেতা-নেত্রীরাই এসেছিলেন বৈঠকে। শুধু অসুস্থতার জন্য আসেননি প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আর গরহাজির ছিলেন বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামী। পার্থপ্রতিম রায় মহামিছিল শেষ করে পৌঁছন সভাকক্ষে। তারপর আলোচনা শুরু হতেই দেখা যায় তৃণমূলে দু-পক্ষের লড়াই।
উচ্চবর্ণ-ফর্মুলাতেই বিহারে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি, তেজস্বীর রণে ভঙ্গ দিতে পরিকল্পনায় যাবদরাও