৪০ দিনের লকডাউন শেষে চড়া সুরে কেন্দ্রের সমালোচনা পিকের, টুইটারে প্রশ্নবাণ
৪০ দিনের লকডাউন শেষে চড়া সুরে কেন্দ্রের সমালোচনা পিকের, টুইটারে প্রশ্নবাণ
করোনা ভাইরাসের রুখতে সংক্রমণ কখনই তিনি লকডাউনের পক্ষে ছিলেন না। লকডাউন যে করোনা সংক্রমণ রোখার উপায় নয়, তার প্রমাণ দেশের বর্তমান করোনা পরিসংখ্যান। প্রশান্ত কিশোর জানান, ৪০ দিন লকডাউন করে কী হল, আদৌ কী কমেছে সংক্রমণ প্রবণতা। উল্টে সাধারণ মানুষকে বিপুল সমস্যার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
চড়া সুরে কেন্দ্রের সমালোচনা প্রশান্ত কিশোরের
তৃতীয় দফায় লকডাউন শুরুর প্রথম দিনেই চড়া সুরে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের প্রচার কৌশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, কেন্দ্রের সরকার শুধু একটা পরিকল্পনা নিয়ে চলছেন, তাঁর বিকল্প কোনও পরিকল্পনা নেই। আর বিকল্প পরিকল্পনার কথা মোদী সরকার ভাবেননি ৪০ দিনের লকডাউন শেষেও।
শুধু লকডাউন করে করোনা যুদ্ধে জেতা যাবে না
প্রশান্ত কিশোরে্র সাফ কথা, শুধু লকডাউন করে করোনা যুদ্ধে জেতা যাবে না। তার সঙ্গে বিকল্প কিছুও ভাবতে হবে। টুইট করে তিনি জানান, ৪০ দিন কেটে গেল পরিস্থিতি তো খারাপই হয়েছে। আরও ১৪ দিন পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবু আমরা এখনও রণকৌশল বদল করছি না। সরকার সত্যিটা স্বীকার করতে রাজি নয়।
জোন ভাগের ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন প্রশান্ত কিশোরের
কেন্দ্র যে ভিত্তিতে দেশকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করেছে, তার ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রশান্ত কিশোর। যারা এই জোন বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করছে, তাদের বলে রাখি, এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসল হল টেস্টিং। তাই এই জোন ভাগ নির্ভর করছে কী পরিমাণ টেস্টিং হয়েছে তার উপর। ফলে টেস্ট বেশি হলেই গ্রিন জোন বদলে যাবে অরেঞ্জ বা রেড জোনে।
কেন্দ্রের দাবির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন
এর আগে প্রশান্ত কিশোর কেন্দ্রের দাবির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, লকডাউনের ফলে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার গতি কমেছে বলে কেন্দ্র যে দাবি করছে তার কোনও সারবত্তা নেই। তিনি মনে করেন, সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার গতি কমেছে কারণ তুলনামূলক পরীক্ষা কম হয়েছে। পরীক্ষা হলেই সংক্রমণের গতি বেড়ে যাবে।