রাজ্যসভায় যাচ্ছেন প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তৃণমূল প্রার্থী
রাজ্যসভায় যাচ্ছেন প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তৃণমূল প্রার্থী
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও জহর সরকার। সোমবার রাজ্যসভার মনোনয়ন জমা করার শেষদিন বিজেপির বা বিরোধী পক্ষের তরফে কোনও প্রার্থী মনোনয়ন দেননি। ফলে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ছে়ড়ে যাওয়া আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী করছিল প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও তথা প্রাক্তন আইএএস অফিসার জহর সরকারকে। তাঁর বিজেপি বিরোধিতা এতদিন ছিল বাইরে, এবার সংসদের মধ্যে তাঁকে বিজেপি বিরোধিতার সুযোগ করে দিতেই তৃণমূল তাঁক রাজ্যসভায় পাঠাল।
এবার রাজ্যসভার আসনে অনেকের নামই শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা থেকে শুরু করে মুকুল রায়, পূর্ণেন্দু বসু, কুণাল ঘোষ। কিন্তু চমক দিয়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভায় সাংসদ করে পাঠাতে প্রার্থী করেন প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও জহর সরকারকে।
সোমবার রাজ্যসভার মনোনয়নের শেষ দিনে সাসংদ নির্বাচিত হয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের ত্রুটি সমালোচনার সুবর্ণ সুয়োগ পেলাম। তৃণমূল কংগ্রসে আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। যাঁকে নিয়ে এত সমস্যা তাঁকে এবার সামনে পাব। দেশকে সঠিক পথ দেখাতে হবে। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে শাসক দলের সমালোচনায় সেভাবেই সরব হবেন তিনি।
২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগদান করেন। তার আগে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকে রাজ্যসভায় পাঠান তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে জহর সরকারের নাম বিবেচনা করেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তৃণমূলের যা শক্তি, তাতে প্রসার ভারতীয়র প্রাক্তন সিইও-র রাজ্যসভায় যাওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিধানসভার অঙ্ক মাথায় রেখেই বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি জহর সরকারের বিরুদ্ধে। সোমহবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ফলত তৃণমূল প্রার্থী জহর সরকারের রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত হয়ে যান এদিনই।
বাংলায় রাজ্যসভার আরও একটি আসনে নির্বাচন বাকি। সেই আসনে কবে ভোট হবে, তা এখনও নির্ধারিত করেনি নির্বাচন কমিশন। মানস ভুঁইয়া রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ায় তাঁর আসনটিও ফাঁকা রয়েছে রাজ্যসভায়। নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করলেই ওই আসনে নির্বাচন হবে। তৃণমূল প্রস্তুত রাজ্যসভায় শূন্যস্থান পূরণ করতে।