তৃণমূলের সঙ্গে জোট সিপিএমের! আজব সমীকরণে ‘প্রস্তাব’ শীর্ষ বামনেতার
পার্টি লাইন নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরবার দল। নিজেরাই বারবার জড়িয়ে পড়ছে অন্তর্কলহে।আর এরই মাঝে অবাস্তব এক বার্তাও উঠে এল সিপিএমের অন্দরে।
পার্টি লাইন স্থির করতেই দিন কাবার। সেই যে হারের মুখে দেখেছে ২০১১-তে, তারপর থেকে একের পর এক হার থেকেও শিক্ষা নিচ্ছে না সিপিএম। পার্টি লাইন নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরবার দল। নিজেরাই বারবার জড়িয়ে পড়ছে অন্তর্কলহে। আর এরই মাঝে অবাস্তব এক বার্তাও উঠে এল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে বিরোধিতা করতে গিয়ে উঠে এল তৃণমূলের সঙ্গে জোটের তত্ত্বও।
শুনলে অবাক হওয়ারই কথা! তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আবার জোট হতে পারে নাকি সিপিএমের! সাপে-নেউলে সম্পর্ক যাদের, তারা কী করে একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে। আসল বিজেপি-র মোকাবিলা করতে গিয়ে এমনই আজব এক প্রস্তাব রেখেছেন স্বয়ং প্রকাশ কারাত। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের পদে না থাকলেও, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এখনও তাঁর লবিই শক্তিধর। তাঁর লবির সিদ্ধান্তই তাই অধিকাংশক্ষেত্রে দল মেনে নিতে বাধ্য হয়।
না, তিনি সরাসরি তৃণমূলকে জোটের প্রস্তাব দেননি। দিতে পারেন না, দেবেনও না। কিন্তু তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বঙ্গ সিপিএমের জোট রুখতে যে প্রস্তাব রেখেছেন, তার মানে করলে দাঁড়ায় রাজ্যে বিজেপির মোকাবিলায় সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসকে জোট বেঁধে লড়তে হবে। তবেই বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলা করা সম্ভব।
সদ্য শেষ হওয়া দিল্লির পলিটব্যুরো বৈঠকে ঠিক কী প্রস্তাব দিয়েছেন কারাত? সিপিএমের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মতো তিনিও মনে করেন, বামেদের এই মুহূর্তে বড় শত্রু বিজেপি।তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই দুই শীর্ষনেতার। যত সমস্যা শত্রুকে মোকাবিলা করার পদ্ধতি নিয়ে। কোন পথে শত্রু দমন করা হবে, তা নিয়ে দুই লবির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে বারবার।
এ প্রসঙ্গেই প্রকাশ কারাত প্রস্তাব রেখেছেন, 'বুর্জোয়া কংগ্রেসের হাত ধরা যাবে না কোনওমতেই। বরং বিজেপিকে রুখতে রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করুক সিপিএম।' সেই সমীকরণ মেনে নিলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে হয় সিপিএমকে। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। আবার তিনি এমনও প্রস্তাব রেখেছেন, যে আঞ্চলিক দলগুলি যদি কংগ্রেসেরসঙ্গে জোট করে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। সিপিএম কোনওমতেই কংগ্রেসের সঙ্গে এক মঞ্চে যাবে না। তারা কংগ্রেস থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলবে।
তাঁর
এই
প্রস্তাব
চরম
সুবিধাবাদী
ও
অবাস্তব
বলেই
ব্যাখ্যা
রাজনৈতিক
মহলের।
এবং
এমনও
মনে
করা
হচ্ছে,
তাঁর
এই
প্রস্তাব
পশ্চিমবঙ্গে
প্রয়োগ
করতে
গেলে,
রাজ্যে
সিপিএম
দলটাই
উঠে
যাবে।
বিশেষজ্ঞরা
মনে
করেন,
যেভাবে
প্রতিটি
নির্বাচনে
তাসের
ঘরের
মতো
ভেঙে
পড়ছে
কমিউনিস্ট
পার্টিটা,
২০২১-এর
নির্বাচনের
পর
তাদের
দূরবীন
দিয়ে
খুঁজতে
হবে।
আর
কারাতের
প্রস্তাব
মেনেচললে,
২০১৯-এই
সাইনবোর্ড
হয়ে
যাবে
সিপিএম।
তাই
সীতারাম
ইয়েচুরির
কাছে
এখন
বড়
চ্যালেঞ্জ
হয়ে
দেখা
দিয়েছে,
তাঁর
পূর্বসূরি
প্রকাশ
কারাতই।