মমতাই ‘সূত্রধর’ সোনিয়ার ‘টিম’-এ! নীরবে চলছে ‘২০১৯-বিজেপি ফিনিশ’-এর প্রস্তুতি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তলে তলে অবিজেপি জোট গড়ার কাজও শুরু করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে শারদ পাওয়ার বার্তা নিয়ে হাজির প্রফুল্ল প্যাটেল।
রাজ্যসভার ভোট ঘোষণা হতেই জোটের আবহ তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রার্থী হওয়া কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট সম্ভাবনাকে আরও জাগিয়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তলে তলে অবিজেপি জোট গড়ার কাজও শুরু করে দিয়েছেন।
সোনিয়া গান্ধী চান যে কোনও মূল্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ফেরা রুখতে। সেই লক্ষ্য তিনিও তৎপর। তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগাযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক পেয়েছেন সোনিয়া গান্ধীর ডিনারে। সেই নৈশভোজে তিনি নিজে উপস্থিত না হলেও প্রতিনিধি পাছাবেন বলেও সম্মতি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর রাজ্যসভায় কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন ঘোষণা করার দিনেই অবিজেপি জোট গড়ার ডাক দিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। তিনি সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী ২৭-২৮ মার্চ দিল্লিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে সামিল হতে পারেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে-রাও।
আর এই প্রক্রিয়াতে মমতার অংশগ্রহণের আর্জি নিয়ে শারদ পাওয়ারের দূত প্রফুল্ল প্যাটেল এদিন নবান্নে আসেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। জানা গিয়েছে, শারদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রস্থ কথা হয়েছে টেলিফোনে। এরপর মমতার সমীপে হাজির হয়েছেন প্রফুল্ল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াই পাবেন তিনি।
বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে ওদিকে যেমন শারদ পাওয়ার একটা মুখ্য ভুমিকা নিচ্ছেন, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সক্রিয় বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক মঞ্চে নিয়ে আসতে। আর তাঁর এই কাজে সোনিয়া গান্ধী প্রচ্ছন্ন মদত জুগিয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
যদিও দিল্লির ওই বৈঠকে কংগ্রেস থাকবে কি না বা কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা স্থির হয়নি। তবে সোনিয়া গান্ধী যে চান বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলোকে এক জায়গায় আনতে সচেষ্ট হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, সেই ইচ্ছা তিনি বহুবার প্রকাশ করেছেন। এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপিবিরোধী লড়াই করে যাচ্ছেন একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে, তা তিনি স্বীকার করেন।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিল্লির সরকারের বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিত অগ্রগণ্য, তা কোর কমিটির বৈঠকেই চূড়ান্ত করে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, 'আপনারা পঞ্চায়েত করুন, আমি দিল্লি করব। সব পার্টিকে এক করে বিজেপির বিনাশ ঘটাবই।' সেইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, 'আমি এই লড়াইয়ে কাঠবেড়ালির মতো সেতু বন্ধনের কাজ করব।'