প্রদেশ কংগ্রেসও এখন রাজ্য সরকারের পাশে, সোমেন মিত্র চিঠি লিখলেন মমতার উদ্দেশ্যে
প্রদেশ কংগ্রেসও এখন রাজ্য সরকারের পাশে, সোমেন মিত্র চিঠি লিখলেন মমতার উদ্দেশ্যে
সিপিএমের মতো কংগ্রেসও এই করোনা যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করল। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র জানালেন তিনিও চান করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে আরও ক্ষমতা ও রসদ দেওয়া হোক। কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে এই দাবি জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও বেশ কিছু বিষয় নিশ্চিত করার বার্তা দেন তিনি।
মমতাকে চিঠি সোমেনের
সোমেন মিত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি লিখে জানান- লকডাউনের মধ্যে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের বেতন বা মজুরি পাওয়ার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয় অবিলম্বে। তিনি জানান, এই সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদেরও সরকারি অনুদান ও রেশনের আওতায় আনা উচিত।
প্রদেশ কংগ্রেস সহমত হাইকমান্ডের সঙ্গে
করোনার মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তীব্র অর্থসংকট দেখা দিয়েছে দেশে। এই অবস্থায় পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস সভানেত্রী সেনিয়া গান্ধী। এই প্রস্তাবের মধ্যেই ছিল রাজ্যগুলির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার কথা। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষেও সেই দাবিতে সরব হলেন সোমেন মিত্র।
রাজ্যের পক্ষে সোমেনের দাবি
তিনি বলেন, যে যা-ই বরাদ্দ করুন না কেন, সবই আসে মানুষের দেওয়া কর থেকে। রাজ্যগুলি যেহেতু করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছে, তাই রাজ্যের দাবি যুক্তিসঙ্গত। আমরা রাজ্যের দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করি। কেন্দ্রের কাছে আমাদের আর্জি রাজ্যগুলিকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হোক।
সিপিএমও সমর্থন জানিয়েছিল মমতাকে
এর আগে বামেদের তরফে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনিও জানিয়েছিলেন সংকটকালে অযথা রাজ্যের বিরোধিতা নয়। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার লড়াই চালাচ্ছে। এই সংকটকালে অযথা রাজ্যের বিরোধিতা না করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন।
কেন্দ্রকে দুষেছিলেন সূর্যকান্ত
রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্র যে অর্থ দিচ্ছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়। তার উপর কেন্দ্র এই সংকটকালেও নিজমাউদ্দিনের জমায়েতকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের খেলা চালাতে চাইছে। সূর্যকান্তের কথায়, এখন ব়্যাপিড টেস্টিং বেশি জরুরি, লকডাউনের চেয়েও কার্যকরী হল ব়্যাপিড টেস্টিং।