বন্ধু খুঁজতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত প্রদেশ কংগ্রেস, কে কাকে চান জানিয়ে দিলেন রাহুলকে
২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদীকে টেক্কা দিতে আসরে নেমে পড়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাই দেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের মন বুঝতে নিয়েছেন এক অভিনব পন্থা। আর সেই কাজ করতে গিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠল-বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস
২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদীকে টেক্কা দিতে আসরে নেমে পড়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাই দেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের মন বুঝতে নিয়েছেন এক অভিনব পন্থা। আর সেই কাজ করতে গিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠল- বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসের বিভাজন। প্রদেশ কংগ্রেস এখন দু-ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ তৃণমূলের দিকে, অন্যপক্ষ চায় বামেরাই বন্ধু হোক।
এখন বন্ধু খুঁজতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত অবস্থা কংগ্রেসের। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও পড়েছেন সমস্যায়। কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করতে তিনি কোন পন্থা অবলম্বন করবেন, কার মন রক্ষা করবেনস, তা নিয়ে ধন্দে পড়াই স্বভাবিক। তবে রাহুল চাইছেন দৃঢ়চেতা হয়ে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে, যা নিলে প্রদেশ কংগ্রেসের হারানো গৌরব ফিরে আসে।
এদিন রাহুল গান্ধী একে একে সমস্ত প্রদেশ নেতার সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান তাঁদের মনে কথা। তাঁরা কাকে চাইছেন, কার সঙ্গে জোটে যেতে চান তাঁরা। প্রত্য়েক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে তাঁদের মনের কথা ব্যক্ত করেন। এই অবস্থায় অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান-রা চাইছেন বামেদের সঙ্গে জোট করে চললেই কংগ্রেস লাভবান হবে।
উল্টোদিকে আবুল হাসেম খান চৌধুরী, মৌসম বেনজির নুররা চাইছেন- কংগ্রেস লাভবান হবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গেলে। তাঁদের যুক্তি এই মুহূর্তে লোকসভা ভোটের দিকে তাকালে কংগ্রেস যদি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট কর তবে কয়েকটি আসন দখল করা যেতে পারে, অন্যথায় তা দুরুহ।
অধীর চৌধুরীরা চাইছেন, কংগ্রেসের দীর্ঘমেয়াদি লাভ হবে সিপিএমের সঙ্গে জোট করলেই। সেখানে কংগ্রেস লোকসভা ভোটে অধিক লাভ না হলেও ভবিষ্যতের পক্ষে ভালো হবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙতে সিদ্ধহস্ত। আর একসঙ্গে থাকলে আরও কংগ্রেসকে শেষ করে দেবে। সিপিএমের সঙ্গে থাকলে সেই ভয় নেই।
তৃণমূল কংগ্রেস এখনও কংগ্রেসকে ভাঙার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে তাঁরা বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে এইভাবে। ২০১৯-এক লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যায়, তখন পশ্চিমবঙ্গ কটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়বে তৃণমূল, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। অধীর-মান্নানদের দাবি, আমরা লড়াই করলে তৃণমূলকে হারিয়ে আসন দখল করতেই পারি। হয়তো দু-একটি কম হবে। কিন্তু প্রাক নির্বাচনী পর্বে সম্মান বজায় থাকবে, ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে কংগ্রেসের।
এখনই এই নীতিগত লড়াইয়ে দু-ভাগ কংগ্রেস শিবির। রাহুল গান্ধী গুরুত্ব দিয়ে সবার কথা শুনেছেন। তাঁদের মত নিচ্ছেন। প্রদেশ কংগ্রসের হারানো গৌরব উদ্ধারের পন্থা খুঁজছেন। এখন দেখার কংগ্রেসের গুরুত্ব বৃদ্ধিতে রাহুল গান্ধী কী অবস্থান নেন। প্রদেশ নেতৃত্বকে কী বার্তা দেন। তার উপরই নির্ভর করছে বঙ্গ কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ।
[আরও পড়ুন:অধীর-মান্নানদের ডেকে জনে জনে কথা রাহুলের, প্রদেশ নেতাদের মন বুঝতে অভিনব পন্থা ]
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ফের বিতর্ক! এবার 'আনন্দধারা' নিয়ে যা বললেন তিনি]