কংগ্রেস জোট গড়তে চায় না বিজেপির বিরুদ্ধে, তৃণমূলের সঙ্গে চলতে আপত্তির কারণ ব্যখ্যা
বাংলার কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান না। সোনিয়া গান্ধী রাজি হলেও অধীর অ্যান্ড কোম্পানি রাজি নয় বাংলার তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে।
বাংলার কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান না। সোনিয়া গান্ধী রাজি হলেও অধীর অ্যান্ড কোম্পানি রাজি নয় বাংলার তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে। অধীরের মতো আবদুল মান্নানও কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে একলা চলার কথা বলেছিলেন। এখন বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে তিনি। কেউই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে নন।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে কংগ্রেস
কংগ্রেস মনে করে, তৃণমূল কংগ্রেসের জোট করার অর্থ দলীয় সংগঠনের ক্ষতি। ২০১১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস। সেই জোট বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটায়। তারপর কংগ্রেসকেই অস্বীকার করে তৃণমূল। এবং ধাপে ধাপে কংগ্রেসের সংগঠন ভেঙে চুরমার করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
জোট করলে কংগ্রেসের ক্ষতি
অধীর-মান্নানরা মনে করেন, মমতার সঙ্গে জোট করলে কংগ্রেসের ক্ষতিই হবে। কংগ্রেসের অস্তিত্ব যেটুকু রয়েছে, তা বিনষ্ট হয়ে যাবে। তার চেয়ে বড় ক্ষতি হবে বাংলার কংগ্রেস নেতাদের। কারণ তাঁরা কেউ মমতার মতো বড় নেতা নন। ফলে সমস্ত প্রচারের আলো কেড়ে নেবে মমতা বন্যোনেপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে বিজেপির উত্থানে
কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর সমালোচক। তাঁর গায়ে একটা সময়ে বিজেপি এজেন্টের স্ট্যাম্প লেগে গিয়েছিল। এখন বাংলায় তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে বিজেপির উত্থান হয়েছে। বিজেপি বর্তমানে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অবস্থায় রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির কাছে হারের ভয়েই জোটের হাওয়া তুলেছে।
বিজেপির চেয়ে অনেক বেশি টিএমসিকে নিশানা
অধীর চৌধুরী লোকসভা দলনেতা হওয়ার পর বিজেপিকে বিভিন্ন ইস্যুতে নিশানা করেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি বেশিরভাগ পোস্ট করেন বিজেপি অথবা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে। তার মধ্যে তিনি বিজেপির চেয়ে অনেক বেশি টিএমসিকে নিশানা করেন। আর এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপি নেতারা নিয়মিত কংগ্রেস দলকে উপহাস করলেও, অধীর চৌধুরীকে সমালোচনা করে কিছু বলেন না।