১০ এপ্রিল ঠিক কী হয়েছিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে, হাড়হিম করা বয়ান পোলিং অফিসারের
বাঁহাতে এখনও আঘাত রয়েছে কোচবিহারের (coochbihar) শীতলকুচির (sitalkuchi) ১২৬ নম্বর বুথের পোলিং অফিসার (polliing officer) দিলীপ মজুমদারের। সেদিন তিনিই সেই বুথের দায়িত্বে ছিলেন, যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃ
ডানহাতে এখনও আঘাত রয়েছে কোচবিহারের (coochbihar) শীতলকুচির (sitalkuchi) ১২৬ নম্বর বুথের পোলিং অফিসার (polliing officer) দিলীপ মজুমদারের। সেদিন তিনিই সেই বুথের দায়িত্বে ছিলেন, যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর এই ঘটনায় অমিত শাহের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিহতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস
এদিন মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন মাথাভাঙায়। সেখানেই ১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কারণে তিনি কী সাহায্য দিতে চান, তার ঘোষণা করতে পারেননি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, গুলি চালনার ঘটনার বিচার করা হবে। ইতিমধ্যেই তিনি সিআইডিকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন বলেও জানিয়েছেন।
লাঠি নিয়ে বুথের সামনে জমায়েত
এদিন বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে বুথের সামনে বেশ কিছু মানুষ রয়েছেন লাঠি হাতে। তবে তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লাঠি হাতে আক্রমণ করেছেন কিনা তা অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া। তবে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে লাঠি হাতে উপস্থিতিতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অনেকেই।
পোলিং অফিসারের বয়ান
১০ এপ্রিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলে। তাতে মারা যান ৪ জন। যা নিয়ে রাজনৈতিক তকজা চরমে। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে সেদিনের ঘটনার কথা জানিয়েছেন থার্ড পোলিং অফিসার দিলীপ মজুমদার। তিনি বলেছেন, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বলতে পুরো স্কুলকে বোঝায়। তবে তিনি ঘরের মধ্যে ছাড়া বাইরে কী হয়েছে, সেকথা বলতে পারবেন না। ঘরের মধ্যে থেকে দু-একটি শব্দ তিনি পেয়েছিলেন। তবে তা বোম না গুলি তা তিনি বলতে পারবেন না।
গণ্ডগোলের জেরে তাঁরা দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু হামলাকারীরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দিলীপ মজুমদার বলেছেন, একটা সময়ে মনে হচ্ছিল আর বাঁচবেন না।ঘরের ভিতরে অনেকেই এসেছিল। তাদের হাতে ছিল লাঠি। তাঁর মাথা লক্ষ্য করে লাঠি চালানো হয়েছিল। তা হাত দিয়ে বাঁচাতে গিয়ে, হাতে আঘাত লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি। হামলাকারীরা ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পরের দিন চিকিৎসা
দিলীপ মজুমদার আরও জানিয়েছেন, সেদিন শীতলকুচিতে তাঁর কোনও চিকিৎসা হয়নি। পরের দিন কোচবিহার হাসপাতালে তিনি গিয়ে চিকিৎসা করান। এই বয়ান সামনে আসার পরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যে প্ররোচনার মধ্যে পড়েই গুলি চালিয়েছিল তা পরিষ্কার। আর এই ছবি এবং এই বয়ান, এই মুহূর্তে বিজেপির হাতকেই শক্ত করল বলেই মনে করছেন অনেকে।