মমতা অ্যান্ড কোং-কে আচরণ সংযত করার পরামর্শ! কৌশলী প্রশান্তের নয়া কৌশল
২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পরই তাল কেটে গিয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই প্রবল চাপে তৃণমূল। একদিকে ভাঙছে দল, অন্যদিকে দলের অন্দরে তোলাবাজি-সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। জোড়া এই ফলা থেকে বাঁচতে তাই ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দিয়েছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।

আচরণ সংযত করার পরামর্শ
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে প্রয়োজনীয় কয়েকটি পরামর্শ দেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের আচরণ সংযত করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে সংবাদমাধ্যমকেও এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি কীভাবে দলের ভাঙন রোখা যায়, সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন।

দলত্যাগ রুখতে পর্যালোচনা
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ধারবাহিকভাবে দলত্যাগ করে চলছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাতেও তা থামেননি। এদিন প্রায় দু-ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব ব্যাপার নিয়েই আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি-মন্তব্যের পিছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মাথা।

কাউন্সিলরদের কাটমানি তোপ
উল্লেখ্য, নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভার কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন অবিলম্বে কাটমানির টাকা জনগণকে ফেরত দিন। তাঁর দলে চোরেদের কোনও জায়গা নেই। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই মন্তব্যের পরেই শাসকদল একাধিক নেতা, কর্মীর বাড়ির চড়াও হয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই অবস্থায় নয়া বিড়ম্বনা বেধেছে। তা থেকে মুক্তির উপায় নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

কৌশল নিরূপণে কিশোর
এদিন পোল স্ট্রাটজিস্ট প্রশান্ত কিশোর দ্বিতীয়বার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে কোন কৌশল নিয়ে তৃণমূল আসন্ন বিধানসভায় লড়তে পারে, তা নিরূপণ করে দেন তিনি। রাজ্যে ক্ষমতা বলবৎ রাখতে তৃণমূল কোন পথে এগোবে তা চূড়ান্ত করতেই মমতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের পরিবর্ত খুঁজে পেলেন মমতা! নয়া ভোট-কৌশলী নিয়োগের ভাবনা তৃণমূলে]
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে ফের মাও হানায় শহিদ দুই সিআরপিএফ জওয়ান]