
বনগাঁয় পুর উপনির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ, আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীকে মারধর
রাজ্যে আজ একাধিক জায়গায় পুরসভা উপনির্বাচন। বনগাঁ,আসানসোলের একাধিক ওয়ার্ডে হচ্ছে ভোটগ্রহন। সকাল থেকে উত্তেজনা দুই জায়গাতেই। বনগাঁয় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ টিএমসির বিরুদ্ধে।

রাজ্যে পুরসভা উপনির্বাচন
আজ রাজ্যের একাধিক জায়গায় পুরসভা উপনির্বাচন হচ্ছে। বনগাঁর দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। আবার আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে উপনির্বাচন। ১২টি ভোট গ্রহণ েকন্দ্রের ১৪টি ওয়ার্ডে চলছে ভোটগ্রহন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহন পর্ব। টিএমসি, বিজেপি, সিপিএম,কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে প্রতিটি ওয়ার্ডে। তৃণমূলে প্রার্থী আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী করেছে।শ্রীদীপ চক্রবর্তীকে, সিপিএমের প্রার্থী শুভাশিস মণ্ডল। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে।

বনগাঁয় অশান্তি
এদিকে ভোট গ্রহন শুরু হতেই সকাল থেকে অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে বনগাঁ পুরসভায়। সেখােন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও চতুর্মুখী লড়াই। তৃণমূল প্রার্থী করেছে পাপাই রাহাকে। বিজেপি প্রার্থী করেছে অরূপ পালকে। সকালেই কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠে উত্তেজনা ছড়ায়। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার উপস্থিতিতে বুথের বাইরে বহিরাগতদের জমায়েতের অভিযোগ তৃণমূলের। এই িনয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি বিধায়ক। তুমুল অশান্তি তৈির হয় সেখানে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করেছে টিএমসি।

আনসোলে তুমুল অশান্তি
আসানসোলও পুরসভা উপনির্বাচনে তুমুল অশান্তি ছড়িয়েছে। অভিেযাগ আসানসোলে বিজেপি বিধায়কেকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জে কে নগর মোড়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্ণণ ঘোড়ুইকে বাধা পুলিশ। জামুড়িয়ার মণ্ডলপুরে ৮২ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ।

ভোটের মাঝে ফ্লেক্স
পুরসভা উপনির্বাচনের মাঝেই জেলার একাধিক জায়গায় নতুন টিএমসি ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের অন্দরে। সামনেই আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দুর্নীতি দমনে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।