কুণালের কথা বলা ঠেকাতে হুক্কাহুয়া করবে পুলিশ, নয়া ফন্দি
গতকাল অসুস্থ কুণাল ঘোষ নাস্তানাবুদ করে দেন পুলিশকে। এসএসকেএম হাসপাতালে নাকে নল নিয়েই সারদা-কাণ্ডে তোপ দাগতে থাকেন। টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে সরিয়ে দিলেও কিছু কথা তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে ছুড়ে দেন। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়। পুলিশকর্তাদের মতে, এভাবে ধাক্কাধাক্কি করে, কুণাল ঘোষকে মেরেধরে তাঁর মুখ বন্ধ করা যাবে না। তাই ভবিষ্যতে আদালতে তোলার সময় উপস্থিত পুলিশকর্মীরাই হুক্কাহুয়া চিৎকার করবেন। প্রিজন ভ্যানের গায়ে চাপড় মেরে আওয়াজ করবেন। এতে বলপ্রয়োগও করা হল না, অথচ উদ্দেশ্যও সফল হল।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দু'-একটি ক্ষেত্রে পুলিশ এমন হুক্কাহুয়া করেছিল। কিন্তু সেটা ছিল নীচুতলার পুলিশকর্মীদের নিজস্ব ব্যাপার। এ বার বড়কর্তারাই তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন অধস্তন কর্মীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলেন, "কুণাল ঘোষ আদালতে ঢোকার সময় আমরা চেঁচাব। বেরোবেন যখন, তখনও। উঁচুতলা থেকে মৌখিকভাবে এই আদেশ পেয়েছি। উনি যেভাবে মাননায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নামে যাচ্ছেতাই বলছেন, তাতে সরকার অস্বস্তিতে পড়ছে। সেই জন্য এই ব্যবস্থা।"
কিন্তু বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য সরকারের এত ভয় কেন? সত্যিই যদি কুণাল ঘোষের অভিযোগে সারবত্তা না থাকে, তা হলে তাঁর মুখ বন্ধ করতে কেন মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে? তা হলে সত্যিই কি ডাল মে কুছ কালা হ্যায়? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।