কাঁকিনাড়ায় শান্তি মিছিলে ধুন্ধুমার! বাম-কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভ
সফল হল না বাম ও কংগ্রেসের শান্তি মিছিল। অনুমতি পাওয়ার পরেই মিছিলের আয়োজন করেছিল বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সফল হল না বাম ও কংগ্রেসের শান্তি মিছিল। অনুমতি পাওয়ার পরেই মিছিলের আয়োজন করেছিল বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন মিছিল শুরুর আগে থেকেই একের পর এক ব্যারিকেড তৈরি করে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। সেই ব্যারিকেড ভেঙেই এগোতে থাকেন বাম ও কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। পরে ব্যারাকপুরের সিপি মনোজ বর্মার সঙ্গে বচসাও হয়। দু-দলের নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়, যেহেতু শান্তির জন্যই মিছিল, তাই তারা আর এগোচ্ছেন না।
পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সঙ্গে জারি ছিল ১৪৪ ধারাও। ফলে এদিন কাঁকিনাড়া থেকে বাম কংগ্রেসের শান্তি মিছিল শুরু হওয়ার পরই পুলিশের তরফে বাধা তৈরি করা হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন ব্যারাকপুরের সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়, কনিনীকা বোস, কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্ক সরকার। পিছনের সারিতেই রাজ্যের প্রথমসারির বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। ছিলেন দুই রাজনৈতিক পক্ষের জেলার নেতারাও। শান্তি মিছিল কাঁকিনাড়া থেকে শুরু হয়ে ঘোষপাড়া রোড হয়ে জগদ্দল থানায় যাওয়ার কথা ছিল। সেখানেই ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল।
#WATCH: Congress and CPM workers who were participating in a peace march on the streets of Bhatpara, North 24 Parganas clashed with police after being stopped by police. #WestBengal pic.twitter.com/sHpInfHRwp
— ANI (@ANI) June 25, 2019
প্রথমের দিকে একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকেন কনিনীতা বোস ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। তাঁরা বলেন পুলিশের অনুমতি থাকাতেই এই মিছিলের আয়োজন। নিচের দিকের পুলিশ আধিকারিকরা বোঝাতে অসমর্থ হওয়ায় বোঝাতে থাকেন ব্যারাকপুরের সিপি মনোজ বর্মা। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আর এগনো যাবে না। রাস্তাতেই বসে পড়েন বাম ও কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এই মিছিল, তাই পুলিশের সঙ্গে অশান্তি নয়। পরে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব যান ভাটপাড়া থানায়।