ছিল মাত্র দুটি সূত্র! তা ধরেই জিয়াগঞ্জে চাঞ্চল্যকর খুনের কিনারা করল পুলিশ
মাত্র দুই সূত্র। তাতেই জিয়াগঞ্জের চাঞ্চল্যকর খুনে রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরার জড়িত থাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান তদন্তকারীরা।
ছিল মাত্র দুটি সূত্র। তাতেই জিয়াগঞ্জের চাঞ্চল্যকর খুনে রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরার জড়িত থাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান তদন্তকারীরা। মধ্যে একাধিকজনকে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের দাবি জেরায় উৎপল বেহেরা জানিয়েছে, পাড়ার দুধ বিক্রেতা রাজীব এবং এক প্রতিবেশী তাকে পালাতে দেখেছিল।
পুলিশের জালে রাজমিস্ত্রি
মুর্শিদাবাদে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার কিনারা হয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে। সোমবার রাতে শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি সাগরদিঘির সাহাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল বেহেরা নামে এক যুবককে। ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গিয়েছে। ওই যুবককে আদালতে পেশ করা হয়।
টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে খুন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে খুন করা হয়েছিল শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল এবং শিশু সন্তানকে। পুলিশকে দেওয়া গ্রেফতার হওয়া রাজমিস্ত্রির বয়ান অনুযায়ী, চুক্তি অনুযায়ী বন্ধুপ্রকাশের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা চেয়েছিল সে। তা দেননি বন্ধুপ্রকাশ। উত্তরে জুটেছিল হুমকি আর হুঁশিয়ারি।
খুন করে পালানোর সময় দেখেছিল দুধ বিক্রেতা আর প্রতিবেশী
পুলিশের দাবি জেলার উৎপল বেহেরা জানিয়েছে খুন করে পালানোর সময় স্থানীয় দুধ বিক্রেতা রাজীব দাস এবং বন্ধুপ্রকাশের প্রতিবেশী কৃষ্ণা সরকার এবং রতন দাস তাকে দেখে ফেলেছিলেন। এই তিনজনের দেওয়া বর্ণনাতেই স্কেচ তৈরি করা হয়েছিল।
বন্ধুর ফোনে শেষ কল ছিল উৎপলের
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বন্ধুপ্রকাশের ফোনে শেষ ফোনটি করেছিলেন উৎপল। উৎপল যে খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, এই ফোন থেকেও সন্দেহ জন্মায় তদন্তকারীদের মনে।
উৎপলের পাসবই ছিল বন্ধু প্রকাশের দেহের কাছেই
দেহ উদ্ধারের সময়ই পুলিশের নজরে এসেছিল বন্ধুপ্রকাশের দেহে কাছে পড়ে ছিল উৎপল বেহেরার নাম লেখা ফিক্সড ডিপোজিটের পাসবই। অর্থলগ্নির বেআইনি ব্যবসার অঙ্গ হিসেবেই এইসব পাসবাই দিতেন বন্ধুপ্রকাশ। সেই সময় থেকেই পুলিশের মনে উৎপলের সম্পর্কে সন্দেহ জন্মায়। অপরাধ করার পর দুর্ঘটনাবশতঃ উৎপল পাসবইটি পড়ে গিয়েছিল মেঝেতে।