বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড: ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা কর্মীদের, অসুস্থ এক মহিলা সমর্থক
কলকাতা পুরসভা ভোটের নামে প্রহসন, অবাধ সন্ত্রাস। আর এই অভিযোগে রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের হতেই তা আটকে দেওয়ার চেষ্টা পুলিশের।
কলকাতা পুরসভা ভোটের নামে প্রহসন, অবাধ সন্ত্রাস। আর এই অভিযোগে রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের হতেই তা আটকে দেওয়ার চেষ্টা পুলিশের। ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর তা আটকাতেই ধন্ধুমার কাণ্ড সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর।
পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বিজেপি নেতা-কর্মীদের। আর তা এগোতেই পালটা পুলিশের তরফে প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়। আর তা হতেই একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
আর এর মধ্যে পড়ে এক মহিলা কর্মী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপি নেতাদের দাবি, ওই মহিলা কর্মী পুলিশের মারে আহত হন। আর এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
অন্যদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশী সময়ে ধরে পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা চলে। বিজেপির দাবি, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। রবিবার এই পুলিশকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক ওয়ার্ডে বুথ দখল করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে এই পুলিশকে ব্যবহার করেই ভোট লুঠ করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার একের পর এক ওয়ার্ডে বুথ দখল, বোমাবাজি, সন্ত্রাসে অভিযোগে সরব বিজেপি। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে অবাধ ছাপ্পা চলেছে। বসতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের এজেন্ট। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। একাধিক ওয়ার্ডে ফের ভোটের ঘোষণা করার দাবি জানানো হয় বিজেপির তরফে।
সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ সোমবার বিজেপির তরফে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো চলছিল প্রস্তুতিও। কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়না। উল্টে কলকাতায় বিজেপির দফতর ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।
কিন্তু মিছিলের অনুমতি না মেলায় ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আর সেই সময়েই পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিজেপি নেতা-করমীদের। মিছিল থেকেই গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেন্ট্রাল অ্যাভনিউ। সপ্তাহের প্রথমদিন অনেকে কাজে বেরিয়ে আটকে পড়েন। তীব্র যানজট তৈরি হয় কলকাতার একাংশ জুড়ে।