ফের শিলিগুড়িতে থেকে উদ্ধার আরও ১৩০০টি জিলেটিন স্টিক
বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলা। ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েই চলেছে। শিলিগুড়ি, কাটোয়া, বহরমপুর, আবার শিলিগুড়ি। চারদিনের মধ্যে রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন পুলিশ।
শিলিগুড়ি, ৯ নভেম্বর : বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলা। ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েই চলেছে। শিলিগুড়ি, কাটোয়া, বহরমপুর, আবার শিলিগুড়ি। চারদিনের মধ্যে রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন। মাত্র চারদিন আগে শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৬০০টি জিলেটিন স্টিক ও ২০০টি ডিটোনেটার।
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। যার বাড়ি থেকে ওই পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়, সেই শেরিং ভুটিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েই এক চোলাই ঠেক থেকে উদ্ধার হল আরও ১৩০০ জিলেটিন স্টিক। গতকালই শিলিগুড়ির বিস্ফোরকগুলি নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়েছিল, আবারও তার দ্বিগুণ বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার পালা। এরই মধ্যে কাটোয়ার একটি ক্লাব ঘর উড়ে গিয়েছিল বিস্ফোরণে।
ক্লাব ঘরের পাশ থেকেই ৩২টি সকেট বোমা উদ্ধার করেছিল প্রশাসন। তা হামনদিস্তে পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় করা হয় মঙ্গলবার। অন্যদিকে গত দু'দিনে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয় ২২৯ কেজি বিস্ফোরক। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। এই ঘটনায় বাংলদেশের জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। রাজ্যে এমন বারুদের স্তূপ জমা হওয়ায় সঙ্কট যখন তীব্রতর রূপ নিচ্ছে, তখনই আরও সঙ্কট বয়ে আনল শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি-কাণ্ডে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, শেরিং ভুটিয়ার বাড়িতে আরও জিলেটিন স্টিক রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সেইমতো তার বাড়িতে আবার হানা দেয় পুলিশ। ওই বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় জিলেটিন স্টিকগুলি। একটি প্যাকেটে আলাদাভাবে মুড়ে রাখা ছিল ওই বিস্ফোরকগুলি। ওই বাড়ির পিছন দিকে একটি ছোট্ট খুপরিতে চোলাই ঠেক চলত। সেখানেই ডাঁই করা ছিল জিলেটিন স্টিকগুলি।
ঘরের এক প্রান্তে ওই বিস্ফোরকগুলি এমনভাবেই কাগজে মুড়ে প্যাকেট করা ছিল, কোনোভাবেই বোঝার উপায় ছিল না। ওই প্যাকেটগুলি নাড়াচাড়া করতেই বেরিয়ে আসে জিলেটিন স্টিক। তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। ডিসি ইন্দ্র চক্রবর্তী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গণনায় দেখেন ১৩০০টি জিলেটিন স্টিক রয়েছে প্যাকেটে।