জলপাইগুড়িতে পানশালায় গভীর রাতে অভিযান পুলিশের, আটক ৬০ জন
মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালায় কোতয়ালি থানার পুলিশের বিশেষ একটি দল।
মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালায় কোতয়ালি থানার পুলিশের বিশেষ একটি দল। জলপাইগুড়ি শহরে অভিযান চালানোর সময় একটি পানশালা থেকে প্রায় ৬০ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে আছেন বেশ কিছু মহিলা। এছাড়াও পানশালার বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এই পানশালায় বহিরাগত কিছু মানুষ আসে। তাদের মধ্যে থাকা বেশ কিছু আইনজীবীকেও আটক করা হয়েছে। আইনজীবীদের বিনা অপরাধে আটক হয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে ব্যাপক ভাবে বচসা বাধে পুলিশের।
এরপর থানার ভেতরেই পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাড়তে থাকে। জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, অভিজিৎ বাবুর সাথে পুলিশের সঙ্গে কোনো বচসা হয়নি বরং তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ বিনা দোষে আমাদের আইনজীবীদের তুলে এনেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি মার্চেন রোডে একটি নতুন পানশালায় অবৈধ ভাবে ডান্সবার ও দেহব্যবসা চলছিল। সেই কারণেই জেলার বিশেষ পুলিশ অফিসারদেরকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশেষ টিম গড়ে গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে পানশালার কিছু কর্মী, গ্রাহক ও বেশ কিছু মহিলাকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া গ্রাহকদের মধ্যে কিছু আইনজীবী ছিলেন। সেই সময় আইনজীবী ছাড়াতে গিয়েই জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার ও কিছু আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয় থানার ভিতরে।
যদিও জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার পুলিশের সাথে বচসার কথা অস্বীকার করলেও পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, আমাদের আইনজীবীদের ধরে নিয়ে এসেছে পুলিশ। কোনও অভিযোগ দেখাতে পারেনি পুলিশ। অন্যায়ভাবে তাদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পানশালায় অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি এই পানশালাটির মালিক জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।