পানশালায় পুলিশি হানা, উদ্ধার হল ৫৫ তরুণী, গ্রেফতার ১১
হাওড়ার চারটি পানশালায় অভিযান চালিয়ে ৫৫ তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোটেলে চাকরি দেওয়ার ছলনায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তুলে এনে পানশালায় নাচতে ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছিল তাদের।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার চারটি ডান্সবারে হানা দিয়ে ৫৫ জন তরুণীকে উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযোগ হোটেলে চাকরি দেওয়ার ছলনায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তুলে এনে পানশালায় নাচতে ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছিল তাদের। গ্রেফতার করা হয়েছে পানশালাগুলির ম্যানেজার, কর্মী-সহ মোট ১১ জনকে।
হাওড়া পুলিশ জানিয়েছে হোটেলের হাউস কিপিং বা কলসেন্টারের কাজের মতো চাকরির প্রস্তাব দিয়ে এই তরুণীদের নিয়ে আসা হত। তারপর তাদের যাবতীয় নথিপত্র আটকে রেখে বাধ্য করা হত পানশালায় নাচতে। এরজন্য প্রথমে তাদের নাচের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত।
শুধু ভারতের নয়, এভাবে দালালদের ভরসা করে ঠকতে হয়েছে এমনকী প্রতিবেশী দেশ নেপালেরও কয়েকজন তরুণীকে। জানা গিয়েছে এই মেয়েদের উপর নিয়মিত যৌন অত্যাচারও চালান হত। প্রায়শয়ই পালশালার খদ্দেরদের সঙ্গে পানশালার বাইরে সময় কাটাতেও পাঠানো হত তাদের। রাজি না হলে মারধরও করা হত।
পুলিশ জানিয়েছে, এর পিছনে আছেন এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। তারা 'ব্যান্ডলিডার' হিসেবে পরিচিত। এরাই প্রতি রাতে অর্থের বিনিময়ে পানশালাগুলির ফ্লোর ভাড়া নিত। এই ফ্লোরেই নাচতে হত তাদের দলে থাকা এই তরুণীদের। নাচের সময় পানশালার খদ্দেররা তাদের বাল পরিমাণে নগত অর্থ দেন। সেই অর্থ সাধারণত ৬০-৪০ বা ৫০-৫০ অনুপাতে ভাগাভাগি হত ব্যান্ডলিডার ও তরুণীদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: মাছ বিক্রি করে 'ট্রোলড' হানান, কেরলের বন্যাত্রাণে দিলেন দেড় লক্ষ টাকা ]
হাওড়ার পুলিশ জানিয়েছে এই তরুণীদের আগে কাজে লাগানো হত ভিআইপি রোডের বিভইন্ন পানশালায়। কিন্তু সেখানে পুলিশি তৎপড়তা শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যান্ডলিডাররা আস্তানা গেড়েছিলেন হাওড়ার পানশালাগুলিতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মানুষ পাচার, যৌনপেশায় বাধ্য করা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলা সিরিয়ালের শিল্পীদের পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার প্রসেনজিৎ, কোন বার্তা দিলেন তিনি ]
তবে মূল অপরাধীরা এখনও ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত ধৃতদের জেরা করে তাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ওই তরুণীদের সরকারি হোমে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
[আরও পড়ুন:লক্ষ্য যখন আকাশ! আবেদন করতে পারেন শিভেনিং স্কলারশিপ এবং ফেলোশিপের জন্য]