হীরাপুর থানায় এএসআই-এর নাচ, ভাইরাল হল ভিডিও, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
বদলি হওয়ায় সতীর্থদের অনুরোধে নাচ। এমনই কাণ্ড করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এএসআই কৃষ্ণসাধন মণ্ডল। আর এই নাচের ছবি ভাইরাল হতেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা।
বদলি হওয়ায় সতীর্থদের অনুরোধে নাচ। এমনই কাণ্ড করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এএসআই কৃষ্ণসাধন মণ্ডল। আর এই নাচের ছবি ভাইরাল হতেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা।
টুকুর-টুকুর গানের সঙ্গে চলছে নাচ। নাচছেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের হীরাপুর থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর কৃষ্ণসাধন মণ্ডল।
নাচানাচি করতে একটু ভালইবাসেন কৃষ্ণসাধন মণ্ডল। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অন্য থানায় বদলির আনন্দ। আর সতীর্থরা অনুরোধ করতেই হীরাপুর থানার লকআপের সামনেই শুরু হয়ে যায় নাচ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নাচের আনন্দ উপভোগ করছেন তিন মহিলা সহকর্মীও। লকআপে থাকা বন্দিরাও দেখেছেন এই নাচ।
উর্দি পরে থানার মধ্যে নাচের ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।
ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা। শুধু যিনি নাচ করছেন তিনিই নন, যিনি এই ভিডিও তুলেছেন, যিনি বাইরে বের করেছেন তদন্তে কাউকেই ছাড়া হবে না বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ভিডিওটি কয়েকদিনের পুরনো। কেননা দিন তিনেক আগেই কৃষ্ণসাধন মণ্ডল চিত্তরঞ্জন থানায় বদলি হয়েছেন।
বছর কয়েক আগে হামলা থেকে বাঁচতে কলকাতায় পুলিশকর্মীকে ফাইল মাথায় দিয়ে আড়াল করতে দেখা গিয়েছে। তখনকার মতো এবারের এই ছবিও পুলিশ বিভাগকে অপমানিত করল বলে মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। তবে অন্য পক্ষের মত, উর্দি পরে যদি সেনাকর্মীরা নাচতে পারেন, তাহলে পুলিশকর্মীরাও বা তা পারবেন না কেন, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।