পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে ফের ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর
পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে ফের ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর
পুলিশ জনতার খণ্ডযুদ্ধে ফের ফের উত্তপ্ত হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরতর জখম হন। বিক্ষোভকারীরা আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আমফানের ক্ষতিপূরণ ও স্বজন পোষনের অভিযোগে এদিন সকাল থেকে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা এগরা- বাজকুল রাজ্য সড়কের পটাশপুরে মতিরামপুর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুধু তাই নয় পটাশপুর ২ পঞ্চায়েতের সভাপতি চন্দন সাউ ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোকারীরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিক্ষোকারীদের দাবি, আমফান ঝড়ে আমাদের যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমাদের থাকার মতো বাসস্থান নেই। কিন্তু এখনও পযর্ন্ত আমরা সরকার থেকে কোনো রকমে সাহায্য পাচ্ছি না। তাছাড়া আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পরে পটাশপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ'এর কাছে ত্রিপল চাওয়া হয়। কিন্তু ত্রিপল চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া যাঁদের ক্ষতি হয়নি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ত্রিপল দিয়েছেন তিনি। আমফান বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণের তালিকাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু নামটুকু নিয়েই শেষ, তারপর আর তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণের দেওয়া হয়নি। অথচ এই আমফানের কারণে যাঁদের আসলে কোনও রকমের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।এমনকি জানা গিয়েছে যাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেরই পাকা বাড়িও আছে।
তাছাড়া যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। যাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু ক্ষতিপুরনের টাকা পেয়েছেন তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এই দাবিতে দিন সরব হন গ্রামবাসীরা।
এরপর পটাশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সেক আকতার আলি ঘটনাস্থলে এলে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ সৃষ্টি হয় এলাকার বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ কাদানি গ্যাস ছোড়ে। এমনকি পুলিশ শুন্যে গুলি চালায় বলেও খবর। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ও পুলিশকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
দলের বড়ো বিক্ষোভ কর্মসূচীতে রাশ টানলেন দিলীপ ঘোষ