প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক বিজেপি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তথ্য তলব হাইকোর্টের
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ভোট হবে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। তবে এই নির্বাচনের আগেই চার পুরসভায় ভোট রয়েছে। ভোট হবে বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর। আর এই ভোটের আগেই দফায়
সামনেই ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ভোট হবে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। তবে এই নির্বাচনের আগেই চার পুরসভায় ভোট রয়েছে। ভোট হবে বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর। আর এই ভোটের আগেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
বিজেপি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ। এমনকি বিজেপি পার্টি অফিসও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অবস্থায় ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি।
আজ মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, সব জায়গাতে সন্ত্রাস চলছে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তিকে কোনঠাসা করার সবরকম চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ শিশির বাজোরিয়া। এমনকি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ এই বিজেপি নেতার।
তিনি বলেন, পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কিছু জায়গার পুলিশ আধিকারিকরা নিজে যাচ্ছেন ডোর-টু-ডোর। আমাদের প্রার্থী এবং এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও এদিন মারাত্মক অভিযোগ করেন এই বিজেপি নেতার। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন বলে দাবি তাঁর।
শিশির বাজোরিয়া বলেন, ভোটারদের আত্মবিশ্বাসটা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। না হলে কখনও নিরপেক্ষ ভোট হওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
চার কমিশনে নয়, অন্তত আগামী ১০৮ পুরসভায় যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নামানো হয় সেই দাবিও জানান শিশির বাজোরিয়া। বলেন, আমরা কোন এলাকায় কি কি ঘটনা ঘটেছে সমস্ত কিছু নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি। কিন্তু এরপরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি তাঁর।
অন্যদিকে ১০৮ পুরসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছেও বক্তব্য চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে সম্প্রতি মামলার শুনানি হয়। আর তা শেষে দু'পক্ষের কাছেই হলফনামা তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রকেও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আবেদনকারী আইনজীবী সব্যসাচী সরকার এই সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে জোর সওয়াল-জবাব করছেন। তাঁর মতে, এই মুহূর্ত ভোটারদের নিরাপত্তাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তা সিনিশ্চিত করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আগামী ভোটারদের আস্থা ফেরাতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষেই জোরাল সওয়াল আইনজীবীর।