গুরুংয়ের বাড়ির অদূরে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা! ডায়েরিতে কার নাম
পাহাড়ে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রবল চাপে মোর্চা। এবার মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বাড়ির সামনেই মিলল বিস্ফোরক তৈরির কারখানা।
পাহাড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যেদিন থেকে আলোচনার রাস্তা খুলে গিয়েছে, সেদিন থেকেই নতুন বিপত্তি শুরু হয়েছে পাহাড়ে। ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটনা হচ্ছে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তারই জেরে মোর্চা প্রবল চাপেও পড়েছে। পাহাড় ছেড়ে পালাতে হয়েছে মোর্চা প্রধানকে। পুলিশি তল্লাশি চলছে। আর এই তল্লাশি চালাতে গিয়েই তাক হয়ে গেল পুলিশ। বিমল গুরুংয়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মিলল অস্ত্রকারখানার হদিশ।
শুক্রবার পাতালেবাস থেকে খানিক দূরে উদ্ধার হল আইইডি ও গ্রেনেড তৈরির কাঁচা মাল। এই অস্ত্র কারখানায় বিস্ফোরক তৈরি হত বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। এমনও হতে পারে এই অস্ত্র কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক দিয়েই পাহাড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পুলিশ এই সম্ভাবনার দিকগুলি খতিয়ে দেখছে।
দার্জিলিং পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, এদিন ৩৯৩টি জিলেস্টিন স্টিক উদ্ধার করা হয়। জেলিটিন স্টিক ব্যবহার করে আইইডি বিস্ফোরক তৈরি করা হত এখানে। সোমবার লেবং থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এবার পাতালেবাসে মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ। ক্রমেই এই দুই ঘটনার সঙ্গে মোর্চার যোগ রয়েছে বলে তদন্ত উঠে আসছে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ডায়েরিও। সেই ডায়েরিতে যুব মোর্চার কয়েকজন নেতারা নামও পাওয়া গিয়েছে। মোর্চার পতাকাও পাওয়া গিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। মোর্চা নেতাদের সঙ্গে এই কারখানার কোনও যোগসূত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন শিলিগুড়িতেও ধৃত মোর্চা নেতা হেমন্ত গৌতমের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় দু-ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় ওই মোর্চা নেতার বাড়িতে।