বুনো হাতির মতো গুলি করে মারার নিদান বিজেপি জেলা সভাপতির, মামলা পুলিশের
তৃণমূল নেতাদের বুনো হাতির মতো গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন গুলি-মন্তব্য নিয়ে ফ্রন্টফুটে খেলছেন, তখন পিছিয়ে থাকেননি অনুব্রত-গড়ের বিজেপি সভাপতি। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার পর ফের ফুঁসে উঠলেন তিনি।

গুলি করে মারার হুমকি
সম্প্রতি রাজনীতির ময়দানে বিষবাষ্প ভরে গিয়েছে। নানা কটূ কথা, হুমকি এবং গুলি করে মারার নিদানে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত। দিলীপ ঘোষ বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছিলেন। তা তেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি ফের গুলি করে মারার হুমকি দেন।

বুনো হাতির মতো ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে
দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, সৌমিত্র খাঁয়েদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সাঁইথিয়ার সভা থেকে তিনি বলেন, এলাকায় হাতি ঢুকে পড়তে প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে তাকে বশে আনার চেষ্টা করা হয়। আর সেই গুলিতে কাজ না হলে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয়। ঠিক এইভাবেই বিজেপি কর্মীদের যারা আক্রমণ করবে, তাদের ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে চিরতরে।

পুলিশের স্বতঃপ্রমোদিত মামলা
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপিতির এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনেছেন শ্যামাপদ মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল জেলা সভাপতি যখন এ ধরনের মন্তব্য করেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ হয় না।

দ্বিচারিতায় মমতার দিকে তির
তিনি এই দ্বিচারিতার জন্য তির ছোড়েন মমতার দিকে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা রয়েছে। সেই কারণেই পুলিশ এমন দ্বিচারিতা করে। তৃণমূলের বেলায় একরকম, আর বিজেপির বেলায় ভিন্নরকম অবস্থান নেয়।
'আমার ছেলে খুন হওয়ার এক মাস বাদে খবর পাই, তারপর.. ' পদ্মশ্রী পেতে চলা মহম্মদ শরিফ জানালেন কোন কাহিনি