পচা মুরগি কাণ্ডে সাফল্য! পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত
পুলিশের জালে মুরগির পচা মাংস-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালি। হাসনাবাদের গোপন ডেরা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের জালে মুরগির পচা মাংস-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালি। হাসনাবাদের গোপন ডেরা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল কওসর। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।
মাসখানেক আগে ভাগাড় মাংসের কাণ্ড নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই মুরগীর পচা মাংস বিক্রির এক চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। বিমান বন্দরের আড়াই নম্বর গেটের কাছে একটি রেস্তোরায় ৪০ কিলো মুরগীর পচা মাংস সরবরাহ করা হচ্ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই রেস্তোরায় মাংসের বিভিন্ন পদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন সাধারণ মানুষ। ভাগাড় কাণ্ড জানাজানি হওয়ার পর থেকে এই রেস্তোরার এপর নজর রেখেছিলেন স্থানীয়রা। তারা পচা মাংসের সরবরাহকারীকে বামাল ধরে ফেলে।
ঘটনার তদন্তে নামে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ধৃত মাংস সরবরাহকারীকে জেরা করে রাজার হাটের চিনার পার্কের কাছে একটি ডেরার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একাধিক ফ্রিজার থেকে কয়েকশ' কিলো পচা মাংস উদ্ধার করে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি রেজিস্টারও। কম দামে এই সব পচা মাংস কোন কোন রেস্তোরা ও হোটেলে সরবরাহ করা হত, সেই তথ্য লেখা ছিল তাতে। পুলিশ জানতে পারে ওই ডেরার মালিক কওসর আলি ঢালি নামে বসিরহাটের এক ব্যক্তি।
ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেট। এরপর কালিন্দির কাছে যশোর রোডের ওপরেও কওসর আলি ঢালির দুটি মুরগির মাংস বিক্রির দোকানের সন্ধান মেলে। সেখানেও বেশ কিছু ফ্রিজারে মাংস মজুত রাখা ছিল। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন কওসরের এই দুই দোকানেই আগে ভাল মাংস দেওয়া হলেও কিছুদিন ধরে তাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এই দুই দোকান থেকে যশোর রোডের ওপরে একাধিক রেস্তোরায় মুরগির মাংস পাঠাতো কওসর আলি ঢালি।
পুলিশ কওসর আলি ঢালির সমস্ত দোকান সিল করে দেয। এবং সেখআনে রাখা মুরগী ও ফ্রিজার বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু এতদিন কওসর আলির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বসির হাটে কওসর আলি ঢালির বাড়িতেও তল্লাশি চলে। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি। তবে জানা গিয়েছিল গত কয়েক বছর ধরে অর্থ-প্রতিপত্তি বেড়ে গিয়েছিল কওসরের। পুলিশের সন্দেহ মুরগীর পচা মাংসের ব্যবসার রমরমায় ফুলে ফেপে উঠেছিল কওসর আলি ঢালি। তাকে জেরা করে কলকাতা শহর ও শহরতলী জুড়ে চলা পচা মাংসের রমরমা ব্যবসার বহু কেষ্ট-বিষ্টুর হদিশ মিলতে পারে।