তৃণমূলের পথেই কি পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন! স্ত্রী অনিন্দিতার যোগদানে জল্পনা
হুমায়ুন কবীর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মাস খানেক আগেই তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বিগত নির্বাচন থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল।
হুমায়ুন কবীর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মাস খানেক আগেই তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বিগত নির্বাচন থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে কি ২০২১-এ সেই সম্ভাবনাই সত্যি হতে চলেছে। আর হুমায়ুন কবীরও কি রাজনীতিতে আসছেন তাঁর স্ত্রী'র আগমনের পথ ধরে? তা যদি হয় ভারতী ঘোষের পর হুমায়ুন কবীরকেও দেখা যাবে রাজ্য রাজনীতিতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারের ইস্তফা
হুমায়ুন কবীর বরবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি হঠাৎ করেই নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করলেন কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ কমিশনারের ঘরের লোক শাসক দলে যোগ দিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আর মাস তিনেক পরেই অবসর, তার আগে চাকরি ছাড়লেন হমায়ুন। স্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান তোলার পর স্বামীর পুলিশে চাকরি করা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
স্ত্রীর তৃণমূলে যোগদানের পর জল্পনায় হুমাযুন কবীর
স্ত্রীর তৃণমূলে যোগদানের পর শীর্ষ পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীরের রাজনীতিতে প্রবেশের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল তিনি অবসর নেবেন তার আগে ৩১ জানুয়ারি তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে খুশি করার জন্যই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন, জল্পনায় পুলিশ কর্তা
অভিযোগ, তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি তৃণমূলকে খুশি করার চেষ্টা করছেন। আবার একটা সূত্রের দাবি, হুমায়ুন কবীর মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তারপর স্ত্রী তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন। আর চাকরি যখন তিন মাস রয়েছে, তখন ইস্তফা দিয়ে তিনিও রাজনীতিতে যোগের জল্পনা বাড়ালেন।
হুমায়ুন রাজনীতিতে আসব কি না সিদ্ধান্ত অচিরেই
হুমায়ুন কবীর জানান, তিনি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না। এদিন ইস্তফার পর তিনি জানান, অনিন্দিতা তাঁর নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি আমার মতো সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত আমার কিছু ব্যক্তিগত কাজ রয়েছে। সেগুলো সামলানোর পর আমি রাজনীতিতে আসব কি না সিদ্ধান্ত নেব।