জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ পুলিশের, ছাড় পেল না চা শ্রমিকরাও
পাহাড়ে বনধের সমর্থন মিছিল বের করেছিল মোর্চা। পুলিশ কড়া অবস্থান নিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেই মিছিল। আর জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে চা শ্রমিকদের অবরোধও উঠল পুলিশের লাঠির ঘায়ে।
বনধের নামে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোয় চা শ্রমিকদেরও রেওয়াত করল না পুলিশ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দফায় দফায় অবরোধ করা হয়। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ এদিন ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বনধ সমর্থনকারী শ্রমিকদের উপর। প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু অবরোধকারীরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ৩৫ জন বনধ সমর্থকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি-সহ একাধিক দাবিতে সোমবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল জয়েন্ট ফোরাম। মোট ২৩টি শ্রমিক সংগঠনের জয়েন্ট ফোরাম সেই ধর্মঘটকেই সাধারণ ধর্মঘটের রূপ দেয় মঙ্গলবার। উত্তরবঙ্গের পাহাড় সংলগ্ন চার জেলায় সাধারণ ধর্মঘট চলছিল। শহর এলাকায় বনধের তেমন প্রভাব না পড়লেও ডুয়ার্স ও তরাইয়ের বেশ কিছু চা বাগান এলাকায় এই বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
এদিন জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড়, করলাভ্যালি চা বাগান প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিকরা তাঁদের ন্যাহ্য দাবি নিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। এই অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। জাতীয় সড়কে। পরীক্ষার্থীদের বাসও আটকে পড়ে। অতিরিক্তি জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসেন। আসেন পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও। অবরোধ তোলার জন্য আলোচনা চালাতে থাকেন।
এরপরই বনধ সমর্থকারীদের হটানোর জন্য বলপ্রয়োগের চেষ্টা করা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে হটিয়ে দেয় অবরোকারীদের। পাল্টা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ধাক্কাধাক্কি করে বনধ সমর্থকারীরা। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। কিন্তু পুলিশের সম্মিলিত অভিযানের মুখে সেই প্রতিরোধ টেকেনি বেশিক্ষণ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান চা শ্রমিকরা। এই অবরোধে বনধ সমর্থনকারীরা বিভিন্ন দলের পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।