বিধায়কের সামনেই দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত পুলিশ
বিধায়কের সামনেই আনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। দুই পুলিকর্মী গুরুতর জখম হন তৃণমূলীদের হাতে। সোমবার রাতে হাওড়ার সাঁকরাইলে এক দুষ্কৃতীকে হাতিয়ে নিতেই পুলিশের উপর পরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়।
হাওড়া, ২৫ অক্টোবর : বিধায়কের সামনেই আনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। দুই পুলিকর্মী গুরুতর জখম হন তৃণমূলীদের হাতে। সোমবার রাতে হাওড়ার সাঁকরাইলে এক দুষ্কৃতীকে হাতিয়ে নিতেই পুলিশের উপর পরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় এক তৃণমূলকর্মীকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে এক মহিলা সদস্যও ছিলেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়ার সাঁকরাইলে এক দুষ্কৃতীকে ধরতে যায় পুলিশ। সাঁকরাইল থানা পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু পুলিশের এই অভিযানে বাধা দেয় স্থানীয় তৃণমূল। বিধায়ক শীতল সর্দারের উপস্থিতিতেই ওই দুষ্কৃতীকে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তৃণমূল সমর্থকদের হামলায় দুই পুলিশকর্মী গুরুতর জখমও হন। তাদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
এরপরই হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের বিশাল বাহিনী গ্রামে তল্লাশি চালায়। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে দফায় দফায় তল্লাশি চলে। বিধায়কের এই ভূমিকাও সমালোচিত হচ্ছে। কেন তিনি একজন দুষ্কৃতীকে ছাড়িয়ে নিতে নেতৃত্ব দিলেন, তা-ই বোধগম্য হচ্ছে না।
গতকাল উলুবেড়িয়ায় অটো আলকদের হাতে আক্রান্ত হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। একটার পর একটা ঘটনায় পুলিশকর্মী বা সিভিক ভলেন্টিয়ার আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে।