জুয়াড়ি ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশই, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনল সিপিএম
বীরভূমের পাড়ুইয়ের পর এ বার বর্ধমান জেলার অণ্ডালেও আক্রান্ত হল আইনরক্ষকরা। গণধোলাইয়ের পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বন্দিদেরও।
অণ্ডাল থানা এলাকার ডাংপাড়া গ্রামে শনিবার রাতে জুয়ার আসর বসেছে বলে খবর পায় পুলিশ। অণ্ডাল থানার ওসি তাপসকুমার পাল বিরাট বাহিনী নিয়ে হাজির হন। জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। অভিযোগ, এর পরই গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে পুলিশকে। চলে ইট-পাটকেল ছোড়া। ছ'জন পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। চলে কিল-চড়-ঘুষি। তাঁদের উর্দি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ঢিল মেরে জিপের কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বর্ধমান থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুলিশের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গ্রামে জুয়া খেলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছে সিপিএম। অণ্ডালের সিপিএম নেতা তুফান মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, "পুলিশ জুয়া খেলার গল্প ফেঁদে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ওদের টার্গেট ছিল সিপিএম। কারণ আমাদের দফতরে এসে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিততে পারেনি। তাই পুলিশ দিয়ে ওরা গ্রাম দখলের পরিকল্পনা করেছিল।" স্থানীয় বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ও এই তত্ত্বকে সমর্থন করেছেন।
আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বলেন, "জুয়ার ঠেক ভাঙতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।"