ব্যাঙ্ক ম্যানেজার স্ত্রীর কাছে মুহুর্মুহু টাকা দাবি! তারপরের ঘটনা শুনলে গায়ে কাটা দেবে
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার খুনে গ্রেফতার স্বামী। টনাটি মুর্শিদাবাদের লালগোলার। ম্যানেজারের নাম মীনাক্ষী বিশ্বাস। পরিবার সূত্রে খবর লোনের টাকার ব্যবস্থা করে দিলেও, আরও টাকার জন্য তাঁকে চাপ
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার খুনে গ্রেফতার স্বামী। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের লালগোলার। ম্যানেজারের নাম মীনাক্ষী বিশ্বাস। পরিবার সূত্রে খবর লোনের টাকার ব্যবস্থা করে দিলেও, আরও টাকার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। বাড়ির অমতে ২০১২-তে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
থানায় অভিযোগ
সোমবার সকালে স্বামী রাজু সরকার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মীনাক্ষীর বাবা। মৃতের পরিবারের তরফে শ্বশুরবাড়ির দিকে খুনের জন্য অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে স্বামী রাজু সরকারকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৪৯৮, ৩০২, ৩০৪-এর বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত
এদিকে অভিযুক্ত স্বামীকে আদালতে তোলা হলে, পুলিশের দাবি মতো তাঁর পুলিশি হেফাজত হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পুনর্নিমান করতে চায় পুলিশ।
শনিবার রাতে দেহ শনাক্ত
শনিবার রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের দেহ শনাক্ত করা হয়। ১৩ নভেম্বর নদিয়ার নাকাশি পাড়া থেকে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
১২ নভেন্বর বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ নভেম্বর ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য রঘুনাথগঞ্জের শ্বশুর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ১৩ নভেম্বর মৃতের স্বামী নিখোঁজের ডায়েরি করেছিলেন। শনিবার রাতে দেহ শনাক্ত করা হয়।
মীনাক্ষীর
স্বামী
রাজু
সরকারের
বাড়ি
রঘুনথাগঞ্জে।
মীনাক্ষী
বিধানচন্দ্র
কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্নাতকোত্তর
ডিগ্রিধারী।
বাড়ির
অমতে
বিয়ে
করায়
বহুদিন
বাড়ির
সঙ্গে
সম্পর্ক
ছিল
না।
পরিবার
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
প্রথমে
তিনি
বারাসত
শাখায়
চাকরি
করতেন।
সন্তান
হওয়ার
পর
তিনি
শ্বশুরবাড়ির
কাছে
চলে
যান।
স্বামীর
জন্য
লোনের
ব্যবস্থা
করে
দিলেও,
তাঁকে
আরও
লোনের
জন্য
চাপ
দেওয়া
হচ্ছিল
বলে
পরিবার
সূত্রে
খবর।
সম্প্রতি
নিজের
বাড়ির
সঙ্গে
যোগাযোগ
হয়েছিল।
বাবা-মাকে
নিজের
পরিবারের
অশান্তির
কথাও
জানিয়েছিলেন
বলে
জানা
গিয়েছে।
রাজুর পরিবার সূত্রে অশান্তির খবর অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ
মীনাক্ষী বিশ্বাস নিজের গাড়িতে করেই রঘুনাথগঞ্জ থেকে লালগোলার ব্যাঙ্কের শাখায় যাতায়াত করতেন। গাড়ির চালকই মূলত গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতেন। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার দিন মীনাক্ষী নিজের গাড়িতে করে অফিসের পথে রওনা হননি বলেই জানা গিয়েছে। কেন তিনি নিজের গাড়িতে যাননি সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
এছাড়াও নিজের সন্তানকে শ্বশুর বাড়িতে না রেখে কেন তাকে রঘুনাথগঞ্জে নিজের মাসির বাড়িতে রাখতেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।