থানা থেকে ১৮টি বন্দুক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশকর্মী
থানা থেকে ১৮টি বন্দুক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশকর্মী
থানার মালখানা থেকে ১৮টি বন্দুক পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক পুলিশ আধিকারিককে। তারাপদ টুডু নামে এক জন সাব ইন্সপেক্টর, ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানাতে থাকার সময় একজন এনভিএফের সাহায্য নিয়ে ওই বন্দুকগুলি পাচার করে ও বিনপুর থানার দুই বাসিন্দার সাহায্যে ওই বন্দুকগুলি বিক্রি করে বলে অভিযোগ। লালগড় থানাতে থাকার সময় তারাপদ টুডু থানার মালখানাতে থাকা ওই বন্দুকগুলি পাচার করে। এখন তিনি এই জেলার জামবনি থানায় কর্মরত ছিলেন।
বুধবার
তারাপদ
সহ
অন্য
তিন
জনকে
গ্রেফতার
করে
ঝাড়গ্রাম
আদালতে
তোলা
হয়।
আদালত
এই
পুলিশ
আধিকারিককে
পাঁচ
দিন
পুলিশ
হেফাজতের
নির্দেশ
দিয়েছে।
তারাপদ
টুডু
পুরুলিয়া
জেলার
রঘুনাথপুর
থানা
এলাকার
বাসিন্দা।
পুলিশ
জানায়
যে
তারাপদ
টুডুর
সঙ্গে
গ্রেফতার
করা
হয়েছে
এনভিএফ
লক্ষ্মীরাম
রানা,
বিনপুরের
বাসিন্দা
সুধাংশু
সেনাপতি
ও
তার
ছেলে
দিলীপ
সেনাপতিকে।
ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিত সিং ভারত রাঠোর জানিয়েছেন যে মালখানাতে 'সেফ কাস্টডি' তে থাকা ১৮টি বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে না। সেগুলো বেআইনি ভাবে পাচার করা হয়েছে বলে জানার পর নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও সেই সময়ে মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তারাপদ টুডু কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।"
পুলিশ জানায় যে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত লালগড় থানার মালখানার দায়িত্বে ছিলেন তারাপদ টুডু। সেই সময়ে এই বন্দুকগুলি সেখান থেকে বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই বছর এই মালখানার দায়িত্ব নেন বিশ্বজিত পাঁজা। তারাপদ টুডুর কাছ থেকেই দায়িত্ব বুঝে নিতে হয় তাকে। সেই সময়ে তিনি এই অসঙ্গতি লক্ষ্য করে লালগড় থানার আই সি অরিন্দম ভট্টাচার্য কে। আই সি মঙ্গলবার তারাপদ টুডুর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পর তাকে ও অন্যান্য তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের এ সি জে এম আদালতে তোলা হয় তাদের। এই আদালতের এপিপি পবিত্র কুমার রানা জানিয়েছেন, তারাপদ টুডুর নামে 409 ধারাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাপদ টুডু কে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।