বাঁকুড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগ, ১ মাসেরও বেশি সময় পর গ্রেফতার সিপিএম নেতা
তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার করা হল বাঁকুড়ার সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্রকে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত সিপিএম নেতা।
তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার করা হল বাঁকুড়ার সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্রকে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত সিপিএম নেতা।
১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়ে খুন হন বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃণমূল কর্মী জান মহম্মদ। খুনের পর থেকেই অভিযোগের তির যায় বিরুদ্ধে গোষ্ঠী অর্থাৎ বর্তমান বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্যের গোষ্ঠীর দিকে। অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামাপদ মুখার্জির গোষ্ঠীর লোকজন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের সমর্থনে জয়ী হয়ে পরে তৃণমূলে যোগ দেন এই তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। এরপর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে এলাকায়।
বাঁকুড়ার শালতোড়ার তালড্যাংরায় খুনের ঘটনাটি ঘটে। খুনের ঘটনাটি ওই এলাকায় হওয়ায় তদন্ত শুরু করে তালড্যাংরার পুলিশ। গত মাস খানেকে ৯ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর পরেই মনোরঞ্জন পাত্রের নাম উঠে আসে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শুক্রবার সন্ধেয় মনোরঞ্জন পাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরে রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্রকে শনিবার খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ১ নভেম্বর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
এদিকে এই খুনের অভিযোগ এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে শনি ও রবিবার জেলা জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে তারা। সিপিএমের অভিযোগ, জেলা জুড়ে অনুন্নয়ন, বঞ্চনা এবং তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদ করছিলেন মনোরঞ্জন পাত্র। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে চলে আসায় এই ধরনের দাপুটে নেতা সরিয়ে রাখার প্রয়োজন অনুভব করছিল তৃণমূল। সেই জন্যই এই গ্রেফতার বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।