আত্মসমর্পণ না করলে পাহাড়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, গুরুংকে ফসকে মাইকিংয়ে ভরসা
পাহাড়বাসীর জন্য গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে নেমে এখন আর তাঁর নিজেরই ঠাঁই নেই পাহাড়ে। পাহাড়ের স্বঘোষিত ‘মুখ্যমন্ত্রী’কে এখন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
আবারও সিআইডি-র হাত ফসকে পালিয়ে গিয়েছেন বিমল গুরুং। গুরুংকে ধরতে বারবার ব্যর্থ হয়ে এবার মাইকিং শুরু করল প্রশাসন। অবিলম্বে বিমল গুরুং ও তাঁর সঙ্গীদের আত্মসমর্পণের আর্জি জানাল পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে আত্মসমর্পণ না করলে পাহাড়জুড়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাবে দার্জিলিং জেলা পুলিশ।
দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত মোর্চা প্রধান মাসাবধিকাল পাহাড় ছাড়া। পাহাড়বাসীর জন্য গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে নেমে এখন আর তাঁর নিজেরই ঠাঁই নেই পাহাড়ে। পাহাড়ের স্বঘোষিত 'মুখ্যমন্ত্রী'কে এখন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা, লুক আউট নোটিশ বেরিয়েছে তাঁর নামে।
পুলিশ-গোয়েন্দা তাঁর তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। দু-দুবার হাতে পেয়েও ধরতে পারেনি। কোনওরকমে গোয়েন্দা নজর এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন গুরুং। এই অবস্থায় পাহাড় মাইকিং করে পুলিশের তরফে আর্জি জানানো হল আত্মসমর্পণের। শুধু তিনিই নন, মোর্চার শীর্ষস্থানীয় আরও কয়েকজন নেতাকেও আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, তাঁদের বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের নামেও লুক আউট নোটিশ বেরিয়েছে।
এমতাবস্থায় পাহাড়জুড়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন। যাঁরা পুলিশের কাজে বাধা দেবে, তাঁদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ রুটিন তল্লাশি চালিয়ে দেখবে, কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুং-রোশন ও তাদের সহযোগীরা। মোটকথা যত শীঘ্র সম্ভব গুরুংদের জালে পোরাই এখন লক্ষ্য পুলিশের।