দাদুর শ্রাদ্ধবাসরে বিয়ে! ছাদনাতলায় চার হাত এক হওয়ার অপেক্ষা, হঠাৎ ছন্দপতন
এ যেন ঠিক সিনেমা। মনে করিয়ে দেয় উত্তম-সুচিত্রা জুটির ‘অগ্নিপরীক্ষা’ সিনেমার চিত্রনাট্যকে। দাদু যখন মৃত্যুশয্যায়, তখনই বুলু আর অতসীর বিয়ে হয়েছিল।
এ যেন ঠিক সিনেমা। মনে করিয়ে দেয় উত্তম-সুচিত্রা জুটির 'অগ্নিপরীক্ষা' সিনেমার চিত্রনাট্যকে। দাদু যখন মৃত্যুশয্যায়, তখনই বুলু আর অতসীর বিয়ে হয়েছিল। তিনি সেই বিয়ে দেখে তবেই চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তেমনই দাদুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেই নাবালিকা বিয়ে বন্দোবস্ত করেছিল পরিবার। এবার তা সম্পূর্ণ হল না।
দাদুর শ্রাদ্ধবাসরে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল নাবালিকার। বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। শুধু চারহাত এক হওয়ার অপেক্ষা মাত্র। বর-কণেও প্রস্তুত। তখনই হাজির প্রশাসন। বন্ধ হল বিয়ে। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে।
আচমকাই শোরগোল পড়ে গেল, পুলিশ এসেছে, পুলিশ এসেছে বলে। সঙ্গে সঙ্গেই বিয়েবাড়িতে প্রবেশ ঘটল পুলিশের। শুধু কি পুলিশ, প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরাও উপস্থিত। তাঁরা জানতে চাইলেন মেয়ের বয়স কত? ব্যস বিপাকে পড়ে গেলেন কণেপক্ষ। দেখালেন জন্মপরিচয়। দেখা গেল কণে এখনও নাবালিকা। ১৮ বছর বয়স হয়নি তার। ব্যস বিয়ে বন্ধ।
[আরও পড়ুন; বোনের সঙ্গে বন্ধুর প্রেম মানতে পারেনি দাদা, মুর্শিদাবাদে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর পরিণতি]
মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল বারুইপুরের সুধা নস্করের ছেলের। পাত্র পেশায় ইলেকট্রনিক্স মেকানিক। সম্বন্ধ করেই বিয়ে স্থির হয়। সেই খবর পৌঁছে যায় ক্যানিং চাইল্ড লাইনে। তারপরই পুলিশ নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। প্রশ্ন ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নাবালিকা বিয়ে রুখতে কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর মতো প্রকল্প শুরু করেছেন, তখন তাঁর দলেরই এর সদস্যা কী করে নিজের নাবালিকা কন্যার বিয়ে দিচ্ছেন?
[আরও পড়ুন;ভূত চেপেছে ছাত্রীর ঘাড়ে! তারপরের ঘটনা সমাজের বুকে অত্যন্ত লজ্জার, আতঙ্ক এলাকায়]
তাড়াহুড়ো করে এই বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এমনকী দাদুর শ্রাদ্ধের দিনই তা আয়োজন করা হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ এ বিয়ে বন্ধ করে দেয়। পাত্র, পাত্রের দাদা, নাবালিকা কণে ও তাঁর মাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালিকাকে পাঠানো হয় হয় হোমে।