নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবি তৃণমূলের! সর্ষের মধ্যেই ভূত, তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ জয়প্রকাশের
২০২১-এর ভোটের প্রস্তুতির লক্ষ্যে রাজ্যের স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির জন্য কমিশনের (election commission) কাছে আবেদন জানিয়েছেন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। যদিও এব্যাপারে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (bjp)।
ফিরহাদ হাকিমকে জবাব দিলেন আবু তাহের! ১০ অক্টোবরেই কি শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের বিভাজন, জল্পনা

নির্ভুল তালিকা প্রকাশের দাবি তৃণমূলের
এদিন নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির জন্য তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক ভোটার যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তারজন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। নদী ভাঙনে ঘরছাড়ারা ছাড়াও, পরিযায়ীদের যাতে সবাইকে ভোটার তালিকায় স্থান দেওয়া হয়, তার জন্যও তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজেপির কটাক্ষ
তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সর্ষের মধ্যেই তো ভূত রয়েছে। সেটা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। নবান্নের চাপের মুখে কী করে নিরপেক্ষ হয়ে সরকারি কর্মীরা কাজ করবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যেভাবে জেলাশাসক বদল করা হচ্ছে তাতে তাদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেছেন, বুথ লেভেল অফিসাররা অনেক সময় বুথে থাকেন না। বাড়ি থেকেও অনেক সময় কাজ হয়ে যায়। সেব্যাপারে নজরদারির প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থায়ী সরকারি কর্মীদের বুথ লেভেল অফিসার করার দাবি সিপিএম-এর
অন্যদিকে সিপিএম-এর তরফে রবিন দেব দাবি করেছেন, স্থায়ী সরকারি কর্মীদেরই যেন বুথ লেভেন অফিসার করা হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী সরকারি কর্মীরা ছাড়া অন্যদের মধ্যে দায়বদ্ধতার অভাব দেখা যায়। ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে কারও আবেদন বাতিল করা হলে, তার যথাযথ কারণ দেখানোর দাবি তুলেছেন সিপিএম-এর রবিন দেব।

১৮ নভেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা, চূড়ান্ত তালিকা ১৫ জানুয়ারি
করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে আর ভোট করাতে অনেক বেশি কাজ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। যা নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এদিনের বৈঠকে পর জানা যায়, ১৮ নভেম্বর রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। এরপর প্রায় একমাস, অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে, ভোটার তালিকায় সংশোধনের কাজ। এর মধ্যে রয়েছে, নাম তোলা এবং বাদ দেওয়ার কাজও। এরপর ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

যেভাবে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন
যেসব বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে, সেগুলিকে করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বিভক্ত করা হচ্ছে। যার জন্য এবার প্রায় ৯৯ টি বুথ বাড়তে চলেছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৭৮,৯০০ বুথের প্রতিটিতে ১ জন করে বিএলও থাকবেন। সেখানে দুদিন করে সংশোধনের কাজ করা হবে।
