২১ কে পাখির চোখ করে বাংলায় আসছেন মোদী! বাংলার ভোটে নেতাজিই যখন হাতিয়ার
রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (netaji subhas chandra basu) ১২৫ তম জন্মদিবসকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই সফরে বিজেপির (bjp) কর্মসূচিতেও অংশ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরকে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম দিবসে উপস্থিত থাকবেন মোদী
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিবসে কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওই দিন পরিবারের তরফে নেতাজির ১২৫ জন্মবার্ষিকী বিশেষভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ অনুষ্ঠান
এবছর নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে পরিবারের তরফে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশাপাশি রেড রোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্য দান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নেতাজির পরিবারের তরফে। সঙ্গে সঙ্গে কিছু জানানো না হলেও, জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে ওইদিন কলকাতার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর থাকার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবছরের মতো এবছরেও রাজ্য সরকারের তরফে রেডরোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানের কর্মসূচি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলা বারোটা নাগাদ রেডরোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফর উদ্বুদ্ধ করবে রাজ্য বিজেপিকে
নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এলেও, এই সফর রাজ্য বিজেপিতে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে ২৩ জানুয়ারি কিংবা তার আগে কিংবা পরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিজেপির কোনও কর্মসূচি রয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীকে জেলায় নিয়ে একটা কিংবা দুটো র্যালি করতে চায় গেরুয়া শিবির। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারকে নিশানা করেছিলেন মোদী।

নেতাজির জন্মদিবস পালনে উদ্যোগ কেন্দ্রের
২১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিবস পালনের জন্য অমিত শাহকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে নেতাজির পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফকেও রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে না পারলেও সমাপ্তির অনুষ্ঠানে হাজির থাকার চেষ্টা করবেন। বাংলা থেকে এই কমিটিতে ৩০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই কমিটিতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়াও, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী, মিঠুন চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে। কমিটিতে রাখা হয়েছে আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও।

প্রাচীন ভারতেও চালু ছিল টিকাকরণ! অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শনিবার থেকেই মাঠে নামছে কেন্দ্র