রামপুরহাট-কাণ্ডের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপিকে জরুরি বৈঠকে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
রামপুরহাট-কাণ্ডের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপিকে জরুরি বৈঠকে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য! আর এর মধ্যেই বাংলায় বিশেষ নজর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বঙ্গ বিজেপির সমস্ত নেতৃত্বকে জরুরি তলব করলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সমস্ত বিজেপি বিধায়কদের একদিকে আমন্ত্রণ পত্র জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সাংসদদেরও তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ১৭ জন সাংসদ রয়েছে বাংলা থেকে। তাঁদের সবাইকেই উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বাসভবনেই সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা যাচ্ছে।
রীতিমত ময়দানে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি শিবির
তবে ঠিক কারণে এই জরুরি তলব তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রামপুরহাট নিয়ে রীতিমত ময়দানে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। একযোগে বাংলা এবং দিল্লিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। এই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘটনার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদরা। রামপুরহাট-কাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা হয়েছে। এই অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মোদীর বাসভবনে হতে চলা এই বৈঠকে নজর সবার।
আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে হতে পারে বৈঠক
এই বৈঠকে মনে করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে কথা হতে পারে। বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। একের পর এক খুনের ঘটনার অভিযোগ। এই অবস্থায় বাংলায় ৩৫৬ জারির কথাও বলা হচ্ছে। এমনকি খোদ অধীর চৌধুরীও বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে লোকসভায় সরব হয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি বিধানসভায় হাতাহাতি এবং গত কয়েকদিন আগে বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদের উপর হামলার প্রসঙ্গটিও জায়গা পেতে পারে এই বৈঠকে।
রামপুরহাট নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন-
রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এমনকি এই বিষয়ে ইতিমধ্যে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ জানানোর পাশাপাশি রাজ্যকে সবরকম ভাবে সাহায্যের বার্তাও দিয়েছেন। এই অবস্থায় ঠিক কি ঘটেছে রামপুরহাটে। সে বিষয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এমনকি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার বিষয়টিও উঠে আসতে পারে।
সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজ
এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপিতে বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্রোহ সামলানো। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছে। সংগঠনের অবস্থাও তথৈবচ। নিচু তলার কর্মীদের অনেকই নিষ্ক্রিয়। এই অবস্থায় সামনেই লোকসভা নির্বাচন। গত বার ১৮টি আসন পেলেও আগামদিনে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে যে বিজেপিকে পড়তে হবে তা কার্যত স্পষ্ট। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ বিজেপিকে টার্গেট বেঁধে দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কোন্দল নিয়েও বার্তা তিনি দিতে পারেন বলে খবর।
পাহাড়ে পা দিয়েই জনসংযোগে মাত দিলেন মমতা, 'অবনী’কে তুলে নিলেন কোলে