মোদীর মুখে ‘একলা চলা’র বার্তা, গুরুদেবের কর্মভূমিতে ১০০ গ্রাম স্বনির্ভর করার ব্রত
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন- ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’। গুরুদেবের সেই বাণীকে পাথেয় করেই শান্তির নীড় শান্তিনিকেতনে এসে স্বনির্ভরতার বার্তা দিয়ে গেলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন- 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে'। গুরুদেবের সেই বাণীকে পাথেয় করেই শান্তির নীড় শান্তিনিকেতনে এসে স্বনির্ভরতার বার্তা দিয়ে গেলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাবর্তনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর বার্তা, ১০০ গ্রামকে স্বনির্ভর করে তুলবে বিশ্বভারতী।
বিশ্বভারতীর
আচার্য
তিনি।
তিনি
এখানে
অতিথি
হয়ে
নন,
আচার্য
হয়েই
এসেছেন।
তা
বুঝিয়ে
দিতে
তিনি
বলেন,
২০২১
সালে
শত
বর্ষ
পূর্ণ
হচ্ছে
বিশ্বভারতীর।
সেই
শতবর্ষকে
তিনি
স্মরণীয়
করে
রাখতে
চান।
তাই
বিশ্বভারতীর
কাঁধে
গুরু
দায়িত্ব
অর্পণ
করে
গেলেন
মোদী।
শতবর্ষের
আঙ্গিকে
বিশ্বভারতীর
সংশ্লিষ্ট
১০০
গ্রামে
উন্নয়নের
জোয়ার
বইয়ে
দেওয়ার
কথা
বললেন।
প্রধানমন্ত্রী
এদিন
দায়িত্ব
দিয়ে
যান,
এলাকার
১০০
গ্রামকে
স্বনির্ভর
করে
তুলতে
হবে।
কেউ
এগিয়ে
না
এলে
একলা
চলতে
হবে।
[আরও পড়ুন:মোদী পিছিয়ে পড়ছেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রাহুল, দাবি লোকনীতি সমীক্ষায়]
আমরা বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা যদি এক মা একলা চলেন, সরকার চার পা তাঁদের সঙ্গে চলবে। এদিনের এই পূণ্যলগ্ন থেকে আমি এই কথা দিয়ে গেলাম। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামকে স্বনির্ভর করে তোলার প্রয়াস শুরু করেছেন বিশ্বভারতী।
আর এদিন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর এই কাজকেই উৎসাহিত করে যান। বলেন, আমি শুনেছি বিশ্বভারতী এক মহান কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ৫০টি গ্রামকে স্বনির্ভর করে তোলার প্রয়াস নিয়েছে। এই খবরে আমার প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। আমি চাই শত বর্ষে শত গ্রাম স্বনির্ভর হোক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সংকল্প নিয়ে এগোতে হবে আমাদের। তাহলেই ২০২১-এর মধ্যে ১০০টি গ্রাম বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে গ্যাস কানেকশনসহ সমস্ত পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে যথাযথ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান এদিন। তাঁর এই বার্তায় উৎসাহিত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: অধীরের বিজেপিতে যোগ নিয়ে জোর জল্পনা, কংগ্রেসের মমতা-সখ্যে চাপে 'রবীন হুড']
প্রধানমন্ত্রী এদিন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চান। বাংলায় বক্তৃতা শুরু করে বিশ্বভারতীকে অভিবাদন জানিয়ে মাতিয়ে দেন সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তাঁর নামে জয়ধ্বনিও ওঠে বিশ্বভারতীর মঞ্চে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তখন সমাবর্তন মঞ্চে।