সিএএ-এনআরসি বিতর্কের মাঝেই মোদী-মমতা বৈঠক কলকাতায়! যুযুধান প্রতিপক্ষকে ঘিরে শুরু কাউন্টডাউন
নাগরিকত্ব ইস্যুতে মহাবিতর্ককে ঘিরে যখন গোটা দেশ উত্তাল, তখনই দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সাক্ষাৎ হতে পারে কলকাতায়।
নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে দুজনে দু-প্রান্তে বিরাজ করছেন। এই মহাবিতর্ককে ঘিরে যখন গোটা দেশ উত্তাল, তখনই দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই সাক্ষাৎ হতে পারে কলকাতায়। তাঁদের সেই সাক্ষাৎ ঘিরেই এখন থেকে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা বন্দরের দেড়শোতম বার্ষিকী উদযাপনে
আগামী ১০-১১ জানুয়ারি কলকাতা বন্দরের দেড়শোতম বার্ষিকী উদযাপন। এই অনুষ্ঠানে উভয়েই আমন্ত্রিত। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসতে পারেন কলকাতায়, এমনটাই শোনা যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরও এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে।
মোদী-মমতা সাক্ষাৎ হতে চলেছে ওইদিন!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতার বন্দরের দেড়শোতম বার্ষিকীকে উপস্থিত থাকবেন তা বলাই বাহুল্য। ফলে মোদী-মমতা সাক্ষাৎ হতে চলেছে ওইদিন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এখন দেখার তাঁদের মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নিয়ে বিতর্কের মধ্যে আলাদা করে কথা হয় কি না।
লোকসভা নির্বাচনের জয়ের পরে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের জয়ের পরে এটিই এই তার প্রথম সফর। স্বভাবতই এই সফর নিয়ে বিজেপিও টগবগ করে ফুটছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তিনি কলকাতায় এসে কোনও বার্তা দেন কি না সেদিকেও নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। মোট কথা-মোদী-মমতা সাক্ষাৎ নিে এখন থেকেই সাজো সাজো রব।
বিজেপিও চাইছে মোদীর বার্তা
বিজেপিও চাইছে মোদীর সফরে তাঁকে নিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে কোনও জনসমাবেশ করাতে। বাংলা তেকে সিএএ নিয়ে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। মোদী রাজ্যে এসে মোট তিনটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।