শিলিগুড়ির সভায় দিলীপ ঘোষকে উপস্থিত থাকার জরুরি নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছ থেকে
রাত পোহালেই বাংলায় নির্বাচন। চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। একদিকে যখন ভোট গ্রহণ পর্ব চলবে অন্যদিকে তখন বাংলায় ফের ভোট প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাত পোহালেই বাংলায় নির্বাচন। চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। একদিকে যখন ভোট গ্রহণ পর্ব চলবে অন্যদিকে তখন বাংলায় ফের ভোট প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার বাংলায় একাধিক সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করার কথা আছে তাঁর। আর উত্তরের সেই সভাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিলীপ ঘোষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ নরেন্দ্র মোদীর। এর আগে খড়্গপুরে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল।
শিলিগুড়ির সভায় দিলীপকে ডাক মোদীর
শনিবার উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথম সভাটি হবে শিলিগুড়িতে। আর সেই সভায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে চান মোদী। শুক্রবার বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন উত্তরবঙ্গ সফররত থাকা দিলীপের মোদীর সমাবেশ থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে মোদীর ইচ্ছাতেই। সূত্রের খবর, কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপের উপরে হামলার পরেই এই সিদ্ধান্ত।
বাংলায় এসে দিলীপের প্রসংশা শোনা যায় মোদীর মুখে
প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারে এসে গত ২০ মার্চ খড়্গপুরে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা স্থানীয় মেদিনীপুর লোকসভা আসনের সাংসদ দিলীপও ডাক পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সভায়। সে দিন মোদী দিলীপ ঘোষকে হঠাত করেই দরাজ সার্টিফিকেট দেন। সবার সামনে প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, ''আমার গর্ব হয় যে, আমাদের দলে দিলীপ ঘোষের মতো একজন সভাপতি রয়েছেন। দলকে জেতানোর জন্য গত কয়েক বছরে দিলীপ ঘোষ শান্তিতে ঘুমোননি। দিদির ধমকেও ভয় পাননি। ওঁর উপর অনেক হামলা হয়েছে। ওঁকে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পণ নিয়ে উনি এগিয়ে গিয়েছেন। আর তার ফলেই বাংলায় নতুন শক্তি তৈরি হয়েছে।''
দিলীপ ঘোষ মার খেয়েও লড়াই চালাচ্ছেন
বাংলায় দিলীপ ঘোষের লড়াই মোদীর নজরে এসেছে। মার খাওয়ার পরেও যেভাবে বাংলায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি সেই প্রশংসার কথাটাও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। মোদী বলেন, গত কয়েক বছরে দিলীপ ঘোষ শান্তিতে ঘুমোননি। দিদির ধমকেও ভয় পাননি। ওঁর উপর অনেক হামলা হয়েছে। ওঁকে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু তাঁর লড়াইকে প্রধানমন্ত্রী স্যালুট জানান। ভোট প্রচারে গিয়ে গত কয়েকদিন আগেও আক্রান্ত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শীতলকুচিতে তাঁর কনভয়ে বোমা মারা হয়েছে। সেই খবর পৌঁছে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর সেই কারনে ভোট প্রচারে ফের একবার দিলীপ ঘোষকে পাশে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
আপাতত উত্তরবঙ্গেই আছেন দিলীপ ঘোষ
বুধবার থেকেই উত্তরবঙ্গে রয়েছেন দিলীপ। শুক্রবারও জলপাইগুড়ি জেলায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদীর সভায় উপস্থিত থাকার জন্য শুক্রবার রাতেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবেন তিনি। শনিবের দুপুরে সভা মোদীর। সেই সভায় যোগ দিয়ে কলকাতায় ফিরবেন দিলীপ। মোদীর সভায় ডাক-পাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপি শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, এর আগে অতীতে দিলীপের উপরে হামলার কথা উল্লেখ করেছেন মোদী। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শীতলকুচিতে সদ্য ঘটে যাওয়া হামলার কথা থাকতে পারে। আর সেই কথা দিলীপ ঘোষকে পাশে রেখেই বলতে চান প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিকমহলের একাংশ।