মোদীর সঙ্গে দিদির সাক্ষাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই
কেন্দ্রের বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই অনড় অবস্থানে চলে গিয়েছিলেন।
কেন্দ্রের বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই অনড় অবস্থানে চলে গিয়েছিলেন। প্রায় সব ইস্যুতেই কেন্দ্রের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেছে তৃণমূল। কেন্দ্রের সরকারকে নানা ইস্যুতে বারবার তুলোধোনা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। শুধু তাই নয়, মোদী বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার ফলে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
নানা দাবিদাওয়া
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী হওয়া নিঃসন্দেহে বড় বিষয়। মমতা মুখে বলেছেন, রেল, ব্যাঙ্ক, এয়ার ইন্ডিয়া সহ একাধিক বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। রাজ্যের নামবদল সহ কিছু দাবিদাওয়া-ও রয়েছে।
লাভ হয়েছে বিজেপির
ঘটনা হল, তৃণমূল নেতাদের একাংশ বলছেন, কেন্দ্র বিরোধিতা করে আখেরে দলের খুব বেশি লাভ হয়নি। কোনও কোনও বিষয়ে বড্ড বেশি এগোনো হয়ে গিয়েছে। যার ফলে জনভিত্তিতে তার প্রভাব পড়েছে। সেই সুযোগে বিজেপি রাজ্যে ডালপালা মেলে ফেলেছে। যার শিকড় ক্রমশ গভীর হচ্ছে।
ক্ষতি তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে রাজ্যে এন্ট্রি দেয়নি মমতার সরকার। বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে। যা নিয়ে বিজেপির প্রচারে তৃণমূলের প্রতি মানুষের রাগ বেড়েছে। গ্রামে-গঞ্জে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। যা আদতে তৃণমূলেরই ক্ষতি করছে।
স্বস্তিতে অনেকেই
এর পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার চক্কর তো রয়েইছে। আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতা ফেঁসে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কার দিকে শেষে হাত বাড়ায় তা আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। অনেকেই ব়্যাডারে রয়েছেন। তাই কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলে যে রাজ্যে তৃণমূলের নেতারা অক্সিজেন পান, তা দেরিতে হলেও বুঝেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তাই দিদির দিল্লি যাত্রায় স্বস্তি তৃণমূল নেতাদের মধ্যে।