তারামণ্ডল চালু হবে দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে! আকর্ষণ বাড়াতে পরিকল্পনা রোপওয়েরও
কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডলের আদলেই তৈরি হচ্ছে দিঘার তারামণ্ডলও। নতুন বছরের তিন মাসের মধ্যেই তারামণ্ডল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
পূর্ব মেদিনীপুর, ৮ ডিসেম্বর : দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে তৈরি করা হচ্ছে তারামণ্ডল। এক কোটি টাকা ব্যয়ে এই তারামণ্ডল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত রূপায়ণ করা হচ্ছে। কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডলের আদলেই তৈরি হচ্ছে দিঘার তারামণ্ডলও। নতুন বছরের তিন মাসের মধ্যেই তারামণ্ডল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই উদ্যোগে এবার সৈকত নগরী দিঘায় দিনের বেলায় নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ দেখার সুখানুভূতি পাবেন পর্যটকরা।
শুধু পর্যটকরাই নন, এলাকার স্কুল ছাত্রছাত্রীরাও জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কেও শিক্ষালাভ করতে পারবে এই তারামণ্ডলে। শিক্ষাদানের জন্য এখানে আসবেন বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও। এ বিষয়ে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক সুজন দত্ত বলেন, আগামী দিনে দিঘা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত হবে। তার পাশাপাশি এই তারামণ্ডল পর্যকদের কাছে হয়ে উঠবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
একদিকে পর্যটকদের যেমন বাড়তি আগ্রহ জন্মাবে দিঘা পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে, তেমনি জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই তারামণ্ডল হয়ে উঠবে জনপ্রিয়।
শুধু তারামণ্ডলই নয়, দিঘার পর্যটকদের জন্য আরও সুখবর নিয়ে আসছে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা। এবার দিঘা থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত রোপওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবার দিঘা বেড়াতে গিয়ে এক লহমায় ঘুরে আসতে পারবেন শঙ্করপুরে। না হাঁটা পথে নয়, সমুদ্রের পাড় ধরে বাঁধানো রাস্তা ছিলই। এবার আকাশ পথেই পৌঁছে যেতে পারবেন শঙ্করপুর। দু'বছরের মধ্যেই দুই পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে রোপওয়ে।
আগামী মে-তেই এই রোপওয়ের শিলান্যাস করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্পে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব থাকছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এই রোপওয়ে চালু হয়ে গেলে শঙ্করপুরের আকর্ষণ অনেকটাই বাড়বে।