লঞ্চে জলদস্যু হানা, সুন্দরবনে সর্বস্ব লুঠ পর্যটকদের
স্থানীয় সূত্রে খবর, নদীয়া জেলার অন্তত ৪০ জন পর্যটক বেড়াতে এসেছিলেন সুন্দরবনে। বৃহস্পতিবার তাঁরা 'এমভি যুমনা' নামে একটি লঞ্চ ভাড়া করেন। সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে শুক্রবার বিকেলে কৈখালিতে আসে লঞ্চটি। সেখানে নেমে পর্যটকরা বাজার করেন। তার পর আবার সুন্দরবনের দিকে রওনা দেন। রাতে লঞ্চটি নোঙর ফেলে সুন্দরবনের কাটামারি খালে। সেই রাতেই জলদস্যুদের কবলে পড়েন পর্যটকরা।
লঞ্চের চালকের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, রাত দু'টো নাগাদ ভুটভুটিতে চেপে একদল দুর্বৃত্ত হানা দেয়। তাদের মুখ ছিল কালো কাপড়ে ঢাকা। হাতে ছিল ভোজালি, রিভলভার ইত্যাদি। লঞ্চের কর্মীদের মারধর করে মুখ-হাত বেঁধে ফেলে তারা। তার পর এগিয়ে যায় পর্যটকদের দিকে। পর্যটকরা প্রথমে জিনিসপত্র দিতে চায়নি। তখন জলদস্যুরা মেয়েদের নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে। কয়েকজনের শাড়ি খুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখন সম্মান বাঁচাতে পর্যটকরা মোবাইল, নগদ টাকা, ক্যামেরা, জামাকাপড় সব কিছু জলদস্যুদের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, পালাবার সময় লঞ্চে মজুত থাকা চাল-ডাল, মশলা, আনাজপাতিও নিয়ে যায় তারা। সব মিলিয়ে অন্তত ছ'লক্ষ টাকার জিনিস লুঠপাট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হানাদারির সময় এক পর্যটক কৌশলে নিজের মোবাইল ফোনটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ফোন থেকে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরদিন ওই পর্যটকরা কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। জলদস্যুদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এরা স্থানীয় জলদস্যু নাকি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।