বিশ্বভারতী কাণ্ডে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
বিশ্বভারতী কাণ্ডে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
কীভাবে বহিরাগতরা বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করলো। ঘটনার সঠিক তদন্তের আবেদনে এদিন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।
করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত মতো শুরু হয় নির্মাণকাজও। যাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ অগাস্ট মূলত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় শান্তিনিকেতন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার থেকে। শনিবার স্থানীয়দের একাংশ কাজে বাধা দেন। পরের দিন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ফের পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ওইদিন রাতেই অবশ্য বোলপুর শহর জূরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয় পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদ করা হবে। সেমতোই পর দিন মাইকে করে প্রচার করা হয় "উপাচার্য গো ব্যাক"। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। সোমবার ফের কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। এইবারে উত্তেজনা।
সেইমতোই পর দিন মাইকে করে প্রচার করা হয় "উপাচার্য গো ব্যাক"। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। সোমবার ফের কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। এইবারে উত্তেজনা। বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়। পৌষমেলার গেটও ভেঙে দেওয়া হয়। পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রমিক,পড়ুয়া, রবীন্দ্র অনুরাগী মানুষজনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, এদিন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে শুধু বোলপুর নয় আশেপাশের গ্রাম গুলি থেকেও বহু মানুষ জমায়েত হয়। তারা ঢালাই মেশিন উল্টে দেয়। ভিতের যে ঢালায় হয়েছিলো তার ওপর ইট ফেলে দেয়। উপাচার্য সহ বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের নজরদারির জন্য যে প্যান্ডেল করা হয়েছিলো সেটিও ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা প্যান্ডেলে থাকা চেয়ার ফ্যান ভেঙে দেয়। এরপরই মাস কয়েক থেকে বন্ধ গেটের তালা ভেঙে সেই গেটও তারা খুলে দেয়। শুধু তাই নয় জেসিবি মেশিন দিয়ে ওই গেটটিও ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা।
বেসরকারি স্কুলের ফি ও খরচ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের