বাণিজ্যিক খনিজ তেলের বড়সড় ভান্ডার পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ, ঘোষণা ধর্মেন্দ্র প্রধানের
বাণিজ্যিক খনিজ তেলের বড়সড় ভান্ডার পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ, ঘোষণা ধর্মেন্দ্র প্রধানের
করোনা আবহে বাংলাকে সুখবর শোনালেন দেশের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পেতে চলেছে বাণিজ্যিক খনিজ তেলের বড়সড় ভান্ডার। তার জেরে কার্যত কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আসবে রাজ্যের ভান্ডারে। এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান ধর্মেন্দ্র প্রধান।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে মাত্র ৪৭ কিমি দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত সদর মহকুমার অশোকনগর থানার বাইগাছি এলাকায় কয়েক বছর আগেই এই বিশাল খনিজ তেলের ভান্ডার মিলেছে। এবার সেখান থেকে বাণিজ্যিক ভাবে তেলের উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়ে দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
আরও জানা গিয়েছে, বাইগাছি এলাকায় অশোকনগর-নৈহাটি জেলা সড়কের ধারেই এই বিশাল খনিজ তেলের ভান্ডার মিলেছে। ওএনজিসি ওই খনিজ তেলের উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই সেখানকার তেল হলদিয়াতে ইন্ডিয়ান অয়েলের তৈল শোধনাগারে পাঠিয়েছিল এটা জানার জন্য যে ওই তেল বাণিজিক ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব কিনা তা জানতে। সম্প্রতি ইন্ডিয়াল অয়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে ওই তেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব। এরপরেই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়ে দেন আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই ওই খনিজ তেল উৎপাদনের মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে ওই তেলের উৎপাদন। কার্যত অসমের থেকেও বেশি তেল বাইগাছি থেকে উৎপাদিত হবে বলেই তিনি জানিয়েছেন।
ওএনজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইগাছি থেকে দৈনিক ভিত্তিতে ১ লক্ষ ঘনমিটার গ্যাস ও ১৮ হাজার ঘনমিটার তেল উৎপাদিত হবে। এক ঘনমিটার মানে এক হাজার লিটার। কাজেই কী বিপুল পরিমাণে গ্যাস ও তেল সেখানে মজুত রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
এই তেল উৎপাদনের জন্য অতিমধ্যেই ওএনজিসি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৩ একর জমি পেয়েছে। সেই জমিতেই পরীক্ষানীরিক্ষা স্তরে উৎপাদন চলছিল। এবার এর বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে গেলে আরও ২৭ একর জমির প্রয়োজন। সেই জমিই রাজ্যের কাছে চাওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেই এবিষয়ে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করবে। কেননা একবার এই তেল বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত হতে শুরু করলে রাজ্য সরকার প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্বের মুখ দেখবে।