ধর্ষণের বিচারে খুশি, এবার উন্নয়নের লড়াই লড়ার শপথ কামদুনির
কামদুনি, ৩১ জানুয়ারি : দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি সময় পরে অবশেষে ধর্ষণ মামলায় বিচার পেয়েছে কামদুনি। নির্যাতিতার পরিবার ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তবে সেখানেই থেমে যায়নি এলাকাবাসীর লড়াই। দল-মত নির্বিশেষে সকলে এককাট্টা হয়ে এতদিন লড়াই চালিয়েছেন।
আর তার ফলও মিলেছে অবশেষে। কামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের তিনজনকে সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডই দিয়েছে আদালত। সইফুল আলি, আনসার আলি, আমিরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। এবং বাকী ৩ দোষী ভোলা নস্কর, আমিন আলি, শেখ এমানুর ইসলামকে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে এখানেই শেষ নয়। এখানেই থামছে না কামদুনির লড়াই। এবার আরও বৃহত্তর সামাজিক অধিকারের লড়াইয়ে শামিল হতে চান টুম্পা, মৌসুমী কয়ালরা।
তাঁরা চান এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হোক। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। গ্রামে তৈরি হোক নতুন পুলিশ ফাঁড়ি। যাতে যেকোনও সুবিধা-অসুবিধা জানাতে তারা মুহূর্তে ছুটে যেতে পারেন প্রশাসনের কাছে।
এর আগে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখে নিজেদের গ্রামের এবং এলাকার উন্নয়নের প্রশ্নে সওয়াল করেছেন গ্রামবাসীরা। টুম্পা, মৌসুমীরা বারবার আবেদন করেছেন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য। এবং কিছুটা সাড়া অবশ্য মিলেছে। তবে তাঁরা চান, এই ব্যবস্থা চিরন্তন হোক। আর পাঁচটা গ্রাম বা এলাকার মতো সেজে উঠুক তাদের এলাকাও।
কামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডের পরে এলাকায় আসতে গিয়ে রাস্তা খারাপ থাকায় কিছুটা পথ এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বাইকে আসতে হয়েছিল। কামদুনির বাসিন্দারা চান, এই অবস্থার পরিবর্তন।
তাঁরা চান এলাকার জুয়া, সাট্টা ও চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিক প্রশাসন। রাস্তা দিয়ে ভরদুপুরে হোক বা রাতবিরেতে, কোনও মহিলার দিকে যেন চোখ তুলেও চাইতে না পারে কোনও অপরাধী দৃষ্টি। একমাত্র তাহলেই সবচেয়ে বড় সুবিচার পাবেন কামদুনির বাসিন্দারা।